চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে অপহরণের পর এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের এমবিএর শিক্ষার্থী তারিকুল ইসলাম রনি অপহরণ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ২৫ মার্চ একদল যুবক রণিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় রনির এক আত্মীয় বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ দুজনকে আটক করে। রণি জামালপুর জেলার শাহবাজপুর গ্রামের কৃষক মো. আবুল হোসেনের ছেলে কণিষ্ঠ সন্তান।
রনির বড় ভাই আনোয়ার হোসাইন বলেন, "আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর সাতদিন পার হয়েছে। অথচ সে এখন কোথায় কেমন আছে তা আমরা কিছুই জানি না। পুলিশ শুধু দেখছে দেখছে বলে সময় পার করছে। অথচ আমার ভাই অনেক শান্ত ও ভালো স্বভাবের। তার সঙ্গে কারো শত্রুতা বা ঝামেলা থাকার কথা নয়। কারণ সে কোনো ঝামেলায় জড়ায় না।"
চবির প্রক্টর মো. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, "আশা করি পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেছি।"
পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, "এ ঘটনায় আমরা ইতোমধ্যে দুজনকে আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।"
এদিকে, গত ২৪ মার্চ দুপুরে ছয়জন লোক নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন আল ফালাহ গলির বাসা থেকে পরিবহন ব্যবসায়ী এস এম শফিকুর রহমান এবং তার দুই শ্যালক মো. হাসান তারেক ও মোয়াজ্জেম হোসেন সাথীকে তুলে নেওয়ার আটদিন পরও তাদের কোনো হদিস দিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
অপহৃত এস এম শফিকুর রহমানের স্ত্রী সোলতানা রাজিয়া টুম্পা বলেন, "আমরা প্রতিনিয়ত শঙ্কা-আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আটদিন পার হলেও তিনটি মানুষের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন। আমরা চাই প্রশাসনের সহায়তায় আমাদের স্বজনরা অক্ষত অবস্থায় আমাদের কাছে ফিরে আসুক।"
বিডি-প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৪