জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডবিøউটিও) সেক্রেটারি তালিব রেফাই বলেছেন, বিশ্বের সামনে আমাদের ৩ টি চ্যালেঞ্জ। সবার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ হল বিশ্বে একটি টেকসই উন্নয়ন সাধন করা। এতে করে বিশ্ব মানুষের জন্য বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠবে।
বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু বেভিউ তে ৩ দিনব্যাপী জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার ২৯তম এশিয়া ও প্যাসিফিক কমিশন (সিএপি) এবং দক্ষিণ এশিয়া কমিশনের (সিএসএ) যৌথ সম্মেলনের শেষে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা একটি বাসযোগ্য পৃথিবীতে বসবাস করতে চাই। যেটা হবে ক্ষুধা মুক্ত, সন্ত্রাস মুক্ত। যেখানে মানুষের টেকসই অর্থনীতি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকবে। এই সম্মেলনে এসে আমরা ২ টি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথমত আগামীতে আমরা একটা সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী বিশ্বে বাস করতে চাই এবং বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে সুন্দর একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদও সমস্যা কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সমস্যা বলতে আমরা সন্ত্রাসবাদকে বুঝাচ্ছি না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আর্থিক সক্ষমতা, সামাজিক স্থিতি, সামাজিক বৈষম্য এগুলোকে বুঝিয়েছি। কারণ বিশ্বের প্রতিটি দেশেরর মধ্যে সমতা বিধান জরুরি।
২০১৮ সালে এই নিয়মিত সম্মেলন ফিজিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং ২০১৯ সালে আবার এশিয়াতে এই সম্মেলনটি ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বাংলাদেশে বিশেষ করে চট্টগ্রামের মত একটি শহরে এবারের সম্মেলনটি আয়োজন করতে পেরে অনেক খুশি এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মানুষদের ধন্যবাদ জানান।
এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) ২৯তম এশিয়া ও প্যাসিফিক কমিশন (সিএপি) এবং দক্ষিণ এশিয়া কমিশনের (সিএসএ) যৌথ সম্মেলন প্রথমবারের মত বাংলাদেশে আয়োজন করতে পেরে আমরা খুশি। এই সম্মেলনে ২০ টি দেশের প্রায় ৩০০ জন সম্মানিত সদস্য অংশ গ্রহন করেছেন। পর্যটন শিল্পের বিকাশে কক্সবাজারে সুয়ারেজ সিস্টেম উন্নয়নের প্রকল্পের কাজ করছে যেটার দায়িত্ব নিয়েছে চায়না ন্যাশনাল ট্যুরিজম অ্যাডমিনিশট্রেশন (সিএনটিএ)। যেটা বাস্তবায়ন করার জন্য সিএনটিএ জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার পরামর্শ নেবে।
এসময় বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী লে কর্নেল ( অব.) ফারুক খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।