রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ার নামে ২২ তলা একটি ভবনে বৃহস্পতিবার আগুন লাগে। এ সময় আটকা পড়েন অনেকে। তখন জীবন বাঁচাতে যে যার মতো চেষ্টা করেন। ভবনের গ্লাস ভেঙে কেউ দড়ি বেয়ে, পাইপ বেয়ে, ডিশ লাইনের তার বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করেন। কেউবা গ্লাস ভেঙে এয়ার কন্ডিশন (এসি) মেশিনের ওপর দাঁড়িয়ে যান। অনেকে ভবনের বিভিন্ন তলার জানালা ভেঙে হাত বাড়িয়ে উদ্ধারের আকুতি জানান। জীবন বাঁচাতে কেউবা লাফ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
কিন্তু সেই সময় বনানীর ফারুক রূপায়ণ (এফআর) টাওয়ারে ঠিক বিপরীত পাশের এসএমসি ভবনে ডেস্কে বসে কাজ করতে থাকা মাহমুদুল হক কিরণ সেসব পথে হাটেননি। ভয়ঙ্কর এই বিপদের সময়ও মাথা ঠান্ডা রেখে কোনো ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে জরুরি সেবার জাতীয় হেল্প ডেস্ক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য চান তিনি। একই সঙ্গে ভয়াবহ এই আগুনের খবর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে তিনিই প্রথম জানান।
মাহমুদুল হক কিরণ বলেন, ফোন রিসিভ করে অপর প্রান্ত থেকে ভবনের ঠিকানা জানতে চান। জানানোর প্রায় ৩০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয় আরও অনেক পর।
আগুনের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে কিরণ বলেন, এফআর টাওয়ারের সপ্তম বা অষ্টম তলা থেকে আগুন লাগে। দাউ দাউ করে আগুন ওপরে উঠে যায়। ভবনের বিভিন্ন তলা থেকে মানুষ বাঁচার জন্য আকুতি জানাতে শুরু করেন। কেউ কেউ পাইপ ও তার বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করেন। তিনজন নিচে পড়ে যান। আর ভবনের দোতলার গ্লাস ভেঙে ১০-১২ জনকে নিচে নামানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম