রাজধানীর ডেমরায় মাদরাসাছাত্র মনির হোসেনকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা আদায়ের জন্য মসজিদের সিঁড়িতেই শ্বাসরোধে খুন করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল হাদী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আরো দুই সহযোগী।
বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেনে এসব কথা জানান (ডিএমপির) ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন।
এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা হচ্ছেন নুর-ই মদিনা মাদরাসার অধ্যক্ষ ও মসজিদুল-ই-আয়েশায় ইমাম আব্দুল জলিল হাদী। তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন মো. আকরাম ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহা নামে দু’জন। মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, মুক্তিপণের টাকা আদায়ের জন্য তারা মনিরকে অপহরণ করেছিল। তবে অপহরণের কিছুক্ষণ পরেই গামছা দিয়ে তার মুখ পেঁচানোর ফলে মারা যায় মনির। মনিরের মৃত্যুর পরও তার পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে টাকা দাবি করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাতলা তোয়ালে, দুটি সিমেন্টের বস্তা, দুটি কালো রংয়ের দড়ি, সিমসহ একটি মোবাইল সেট, মৃতদেহের পড়নে থাকা গ্যাবাডিংয়ের ফুল প্যান্ট ও পাঞ্জাবি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রথমে আব্দুল জলিল হাদী ও আহাম্মদ সফি ওরফে তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এর পর তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বংশালের মালিটোলা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত মো. আকরামকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে ডেমরার ডগাইর নতুনপাড়া এলাকার নুর-ই আয়েশা জামে মসজিদের ভেতর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশু মনির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় শিশুশ্রেণির ছাত্র মনির আগের দিন রবিবার (৭ এপ্রিল) থেকে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় ডেমরা থানায় একটি জিডি ও পরবর্তীতে হত্যা মামলা করা হয়।
তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান ডিসি ফরিদ উদ্দিন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন