বরিশালে করোনার সংক্রামন এড়াতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অযথা ঘোরাফেরা করায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী ও সরকারী কাজে বাঁধা সৃষ্টির দায়ে ২ ব্যক্তিকে মোট ২৯ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড দিয়েছেন পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত দেখে পালিয়ে যাওয়ায় নগরীর ফলপট্টি এলাকায় একটি ইলেক্ট্রনিক দোকান সিলগালা করে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা র্যাবের সহায়তায় এবং অপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউর রাব্বী পুলিশের সহায়তায় রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালায়।
মো. নাজমুল হুদা জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নগরীর কাউনিয়ায় মোটরসাইকেল নিয়ে অযথা ঘোরাফেরা করার দায়ে দুই আরোহী মো. ইসমাইল ও মো. রনিকে ৫শ’ টাকা করে ১ হাজার এবং ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম মুঠোফোনে ভিডিও করার দায়ে মো. জাহিদ নামে এক ব্যক্তিকে ২ হাজার, একই এলাকায় অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখায় ইউসুফ নামে এক দোকানীকে ১ হাজার, নতুনবাজারে ৩ দোকান থেকে ৪ হাজার, চৌমাথা এলাকায় অপ্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক্স দোকান খোলা রাখায় মো. লিটনকে ৬ হাজার, মো. আমিনুলকে ১ হাজার ও মো. রাহাত নামে এক দোকানীকে ৫শ’, ফলপট্টিতে অপ্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক দোকান খোলা রাখায় একটি দোকান থেকে ৫ হাজার এবং আরেকটি দোকান থেকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ফলপট্টিতে ভ্রাম্যমান আদালত দেখে পালিয়ে যাওয়ার পরও ফোনে ডেকে না পাওয়ায় ওই দোকান সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
অপরদিকে পুলিশের সহায়তায় মো. আতাউর রাব্বীর ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে মাসুদ হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি বিনাকারনে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করায় তাকে ৫শ’ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া আতাউর রাব্বী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-স্বজনপ্রীতি দূর করতে কঠোর নজরদারী করেন।
পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে জনগনের মাঝে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে নিজে এবং অপরকে বাঁচাতে সবাইকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের আহ্বান জানানো হয়। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ