গাজীপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা করার নমুনা সংগ্রহের জন্য জেলা ও সকল উপজেলায় একটি করে বুথ স্থাপন করছে জেলা প্রশাসন। গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে নির্দিষ্ট ডিজাইনের পাঁচটি বুথ ইতিমধ্যে তৈরী করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহকারী ও নমুনা দাতার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একটি এবং শ্রীপুর, কালিয়াকৈর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা করার এসব বুথ স্থাপন করা হচ্ছে।
গাজীপুর সদর উপজেলাকে জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করে জেলা শহরে একটি ও সদর ব্যতিত অন্য সকল উপজেলায় একটি করে বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। বুথগুলো জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার সকালেই নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোর নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করে নমুনা সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, ভারতের একটি মডেল ও ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মরতুজা এমপির এলাকায় ব্যবহৃত নমুনা অনুসরণ করে আমরা গাজীপুরে নিরাপদ বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নেই। করোনার নমুনা যিনি সংগ্রহ করেন এবং যিনি দিতে যান দু’জনের জন্যেই ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা একজন টেকনিশিয়ান পিপিই পড়েই নমুনা নিচ্ছেন। প্রথম নমুনা নেয়ার সময় সেই লোকটা যদি করোনা পজিটিভ হয় তবে তার জীবানুতে পিপিইটা আক্রান্ত হলো। পরে আবার যখন অন্য একজন নরমাল মানুষের নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে তিনি সেখান থেকে আক্রান্ত হয়ে যাবেন। এটা ভেবেই আমাদের মনে হলো-যে নমুনা নিচ্ছেন তাকে যেমন নিরাপদে রাখা দরকার তেমনি যার নমুনাটা নেওয়া হচ্ছে তাকেও নিরাপদ রাখা দরকার। এজন্যে নমুনা সংগ্রহ করার সময়, নমুনা সংগ্রহকারী বুথের ভিতরে গিয়ে দরজা জানালা আটকে দিবে। এসময় বাতাস পাওয়ার জন্যে বুথের ভিতরে একটি ফ্যান চালু থাকবে। আর যে নমুনা দিবেন তিনি বুথের বাইরে থাকবেন। এতে করে নমুনা সংগ্রহকারীকে নমুনা দিতে আসা ব্যক্তির সংস্পর্শে যেতে হবে না। নমুনা সংগ্রহরে সময় শুধু গ্লোভস পরিহিত হাতটা বাইরে যাবে। হাতে যে ফুল কোটেড গ্লোভসটা থাকবে সেটা নমুনা সংগ্রহের পর ফেলে দেবেন। নতুন কেউ আসলে আবার নতুন গ্লোভস পড়ে নমুনা নিবেন। ফলে কারোরই আর করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকবে না। যিনি গ্লোসের ভিতরে থেকে নমুনা নিচ্ছেন তিনিও নিরাপদ থাকবেন আর যার নমুনাটা নিচ্ছে তিনিও নিরাপদ থাকবেন। অর্থাৎ নিরাপদে নমুনা নিতে এবং দিতে পারার জন্যেই এ বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। তাছাড়া নমুনা সংগ্রহকারীর বারবার পিপিই পড়তে হবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল