রাত নেমে আসলেই ওসির উপহার পাওয়ার আশায় দলে দলে থানায় ছুটে আসছেন অসহায় মানুষ। পাশাপাশি মধ্যবিত্ত মানুষও ফোন করে বা এসএমএস করে সহায়তা চাচ্ছেন। এসএমএস পাওয়ার পর নাম গোপন রেখে মধ্যবিত্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি ওসির উপহার সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা।
ইতোমধ্যে করোনা রোগীদের সেবা ও নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন পিএসআইসহ কয়েক জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতেও থেমে থাকেনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির কামরুল ফারুক। অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি ইফতার বিরতণ করে আসছেন তিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক বলেন, দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদি আল্লাহ করোনায় আমার মৃতুও লিখে রাখে, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ কোনো আক্ষেপ নেই। এটা আল্লাহ তা’আলার হুকুম। তবে এই রোগটিকে ভয় করলে চলবে না, নিয়ম মাফিক সচেতনতার সাথে সাহসী মনোভাব রাখতে হবে। থানার পুলিশ সদস্যদের রেশনের পাশাপাশি সমাজের মানুষের কাছ থেকে নিয়ে এ উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আগে মানুষ থানায় আসতো বিচার পেতে এখন আসে ত্রাণ নেওয়ার জন্য। রিক্সাচালক, কখনও ট্রাক-বাস-অটো-সিএনজি চালক ও হেলপার, কখনও শিশু ও স্বামী পরিত্যক্তা-বিধবা নারী, আবার কখনও তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) সম্প্রাদয়সহ ভূমিহীন ভাড়াটিয়া, নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত পরিবার নিয়মিত খাদ্য সহায়তার জন্য আসছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন