করোনাভাইরাস বাংলাদেশে হানা দেয়ার পর থেকেই নানাভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে মানুষকে সহযোগিতা করছেন তিনি। করোনার উপসর্গ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সৎকারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ ফুড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী আল মামুন, ডা. মাসুদ, ফিরোজ চৌধুরী নারায়ণগঞ্জের বসবাসরত স্বেচ্ছাসেবী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (মাসুম)।
বৃহস্পতিবার কাউন্সিলর খোরশেদের হাতে তুলে দিয়েছেন সৎকারের কাজের জন্য পিপিই ও অন্যান্য সরঞ্জাম তারা। এ সময় তারা আগামীতেও এমন সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন কাউন্সিলর খোরশেদকে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে মানবতার জন্যই তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা উপসর্গ মৃত ব্যক্তির সৎকারে এগিয়ে এসেছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে অসুস্থ না হবেন সে পর্যন্ত এ কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণে একের পর এক মৃত্যু হয়ে যখন ভয়ে আতঙ্কে স্বজনরা লাশ ফেলে রেখেছে এসব মৃত ব্যক্তিদের সৎকারের এগিয়ে এসেছেন কাউন্সিলর খোরশেদ। জাত ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে নিজে মুসলমান হয়েও হিন্দু মৃত ব্যক্তির সৎকারে মুখাগ্নি করেছেন খোরশেদ।
এ পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩৫ জন মৃত ব্যক্তির লাশ সৎকার ও দাফন করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৬ জন হিন্দু ও ২৯ জন মুসলমান ব্যক্তির লাশ রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন