শিরোনাম
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৯ মামলা
- কিউ-এস র্যাংঙ্কিং: এশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিইউবিটি
- এনসিপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু, মূল্য ১০ হাজার টাকা
- স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে অপসোনিনের ছাঁটাই শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
- মাগুরায় দুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ
- অনশনরত তারেকের পাশে রিজভী, বিএনপির সংহতি ঘোষণা
- বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘পুষ্টি ক্যাম্পেইন মেলা’ অনুষ্ঠিত
- জাল নোট প্রতিরোধে বিজিবির নজরদারি জোরদার
- প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পুনর্বহালের দাবিতে জবিতে বিক্ষোভ
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪
- চকবাজারে র্যাবের অভিযানে তিন প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা ও জরিমানা
- ঢামেকে কারাবন্দীর মৃত্যু
- আড়াইহাজারে ৬ হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
- বাগেরহাটে ৮৩০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
- খাগড়াছড়িতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চেক বিতরণ
- ইউটিউব মুছে দিল ইসরায়েলি অপরাধের ৭০০ ভিডিও
- এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজকে কারাগারে
- বিএনপিও গণভোট চায়, তবে একই দিনে
- বাগেরহাটে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক
- হাসিনা-জয়-পুতুলের দুর্নীতির মামলায় ৭৯ সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া শেষ
উপহার নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীর বাসায় রাজশাহীর ডিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী আসমাউল হুসনার শিশু সন্তানকে বাসায় দেখতে গেলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। তিনি শিশুটির পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী ও নগদ টাকা দেন। এসময় ডিসি বাসার মালিক এবং এলাকাবাসীকে আসমাউল হুসনার ব্যাপারে সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
দুধের শিশুকে বাসায় রেখে হাসপাতালে কাজ করছেন আসমাউল হুসনা- এমন খবর জানার পর শুক্রবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে জেলা প্রশাসক রাজশাহী নগরীর হেতেমখাঁ কারিগরপাড়ায় রামেক হাসপাতালের আয়া আসমাউল হুসনার বাসায় যান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরীফুল হক, নগর পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের উপ-কমিশনার সাজিদ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ও পবা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সালাউদ্দিন আল ওয়াদুদ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, এই দুঃসময়ে যারা হাসপাতালে থেকে রোগীর সেবা করছেন তাদের প্রতি সবার সহানুভূতিশীল থাকা প্রয়োজন। তারা দেশের এই ক্রান্তিকালে মানবতার সেবায় নিয়োজিত। এই শিশুর মা হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে সেখানেই তার পোশাক পরিবর্তন করে গোসল করে বাসায় ফিরবেন। এ নিয়ে কেউ আপত্তি করতে পারবেন না। যদি কেই আপত্তি করেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আয়া আসমাউল হুসনার স্বামী কুরবান আলীর হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রীর দুটি প্যাকেট তুলে দেন।
আসমাউল হুসনা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করেন। তার স্বামী রিকশাচালক। বাসায় ২০ মাসের সন্তান রেখে তিনি হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। শিশুটি এখনও মায়ের বুকের দুধ খায়। করোনা সন্দেহে ভর্তি রোগীর সেবা করার কারণে এই টানা ছয় দিন হাসপাতাল থেকে ফিরতে পারেননি। আরও কয়দিন ফিরতে পারবেন না, সেটা নতুন রোগী ভর্তি হওয়া এবং তাদের শরীরে করোনা পরীক্ষার ওপরে নির্ভর করছে।
গত ১৯ এপ্রিল রাতে হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে বাসায় ঢুকতে গেলে বাসার মালিক তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের বাসা থেকে বের করে দিতে চান। এ সময় বাসার ভিতর দুধের শিশু মায়ের জন্য কাঁদছিল, আর মা আসমাউল হুসনা বাসার বাইরে কাঁদছিলেন। খবর পেয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির মালিককে বোঝান। অবশেষে বাসার মালিক রাজি হন। এরই মধ্যে গত রবিবার করোনাভাইরাস সন্দেহে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালের আইসিইউ-তে নেওয়া হয়। এরপর থেকে আর মা আসমাউল হুসনা বাসায় ফিরতে পারেননি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর