জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরও ২০ জনের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
যাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী ইস্যু করা হয়েছে এদের মধ্যে রয়েছেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মজিবুল হক মুন্সি ও তার স্ত্রী রিফাত আক্তার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার, গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান এবং তার দুই স্ত্রী বিলকিচ রহমান ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের স্টাফ নার্স রেহেনা আক্তার, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক মো. ইমদাদুল হক ও তার স্ত্রী উম্মে রুমান ফেন্সী, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. মাহমুদুজ্জামান ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন, শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ বিভাগের অফিস সহকারী কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজের স্টেনোগ্রাফার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর সাইফুল ইসলাম, বরিশাল বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মীর রায়হান আলী এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক আনোয়ার হোসেন।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এসব নোটিশে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (১) দ্বারা অর্পিত ক্ষমতাবলে তাদের নিজের এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬ (২) উপধারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
