রংপুরের শ্যামপুরের চিনি কল বন্ধ থাকায় ক্ষেতে দণ্ডায়মান আখ ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। চিনিকল এলাকায় আখ চাষিদের চোখে মুখে এখন বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন শ্যামপুর চিনিকলসহ ৬টি চিনিকলে চলতি মৌসুমে আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শ্যামপুর চিনিকলের উৎপাদিত কৃষকের আখ জয়পুরহাট চিনিকলে মাড়াইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জয়পুরহাট চিনিকলে এপর্যন্ত শ্যামপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাত্র ৬ হাজার মেট্রিক টন আখ ক্রয় করে সরবরাহ করতে পেরেছে।
এখনো শ্যামপুর চিনিকল জোন এলাকায় কৃষকদের জমিতে আখ রয়েছে ৫৪ হাজার মেট্রিকটন। এভাবে শ্যামপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ কৃষকের আখ ক্রয় করতে থাকলে আরও ৪ থেকে ৫ মাস সময় লাগবে। আখের আষ্কুকাল ১২ মাস থেকে ১৩ মাস পর্যন্ত । এর বেশি সময় জমিতে থাকলে আখ থাকলে রস শুকিয়ে খড়ি হয়ে যাবে। এখন অনেক কৃষকের আখের বয়স ১৪ মাস পেরিয়ে গেছে।
শ্যামপুরের আখচাষি সামসুজ্জামান জানান, তার দুই একর জমির আখ ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। তিনি বিক্রি করতে পারছেনা না। চাষিদের অভিযোগ জয়পুরহাট চিনিকল ঘনঘন ব্রেক ডাউন ও ক্লিনের অজুহাতে মাঝে মাঝে শ্যামপুর চিনিকলে আখ ক্রয়ের প্রচারণা বন্ধ রাখছেন কর্তৃপক্ষ।
চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আখচাষিদের কোটি কোটি টাকা ক্ষতির জন্য দায়ী শ্যামপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন। শ্যামপুর চিনিকলে এখনও আখ মাড়াই শুরু করলে কৃষকের অর্থনৈতিক লোকসান কম হবে বলে তিনি দাবি করেন।
শ্যামপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীলিপ কুমার বলেন ২ মাসের মধ্যে আখ ক্রয় শেষ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর