কুমিল্লা নগরীর কাপ্তান বাজার। এলাকাটি পুরাতন গোমতী নদীর পাড় ঘেঁষে। এখানে রয়েছে তিনশ’ বছরের প্রাচীন নান্দনিক মসজিদ। বেপারী পুকুর পাড়ে নির্মিত মসজিদটির নাম কাপ্তান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। তার সাথে সংযুক্ত রয়েছে ঈদগাহ। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসেন। এর নির্মাণ শৈলীতে ধারণা করা হচ্ছে এটি মোগল আমলে নির্মিত।
সূত্রমতে, কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলীতে ঐতিহ্যবাহী শাহ সুজা মসজিদ ১৬৫৮ সালে নির্মিত হয়। এর প্রায় একশ’ বছর পরে কাপ্তান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা স্থানীয় দানশীল ব্যক্তি দোস্ত মোহাম্মদ। চুন সুরকির তৈরির মসজিদটিতে তিনটি বড় গম্ভুজ রয়েছে। পরে বিভিন্ন ব্যক্তির দানে সেটি সম্প্রসারিত করা হয়। প্রায় ১০ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে মসজিদটির। এখন এক সাথে হাজারের বেশি মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। বর্ধিত অংশসহ সেখানে আরো বেশি মানুষ নামাজ পড়তে পারবে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হায়দার বলেন, প্রতিষ্ঠাতা সাল কেউ জানে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, শাহ সুজা মসজিদের পরে কাপ্তান বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নির্মিত হয়। এই এলাকার মানুষের নামাজের জানাজা, ঈদের নামাজ এখানে অনুষ্ঠিত হয়। জুমার নামাজ ও তারাবির সময় হাজারের বেশি মুসল্লি হয়। এখন দুইতলা ভবন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন।
তিনি আরো জানান, মসজিদ সংলগ্ন পুকুর পাড়ে বাগান, এসেস পাইপের রেলিং ও আলোকসজ্জা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিটি মেয়ের মনিরুল হক সাক্কু।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, তিন গম্ভুজ দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি মোগল আমলের মসজিদ। এর বয়স তিনশ’ বছরের বেশি হবে। মসজিদটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন