শত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফুলেল শুভেচ্ছা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ ও মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে বিভাগীয় নগরী রংপুরে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব।
সূর্যদয়ের শুরুতে নগরীর মর্ডানমোড় স্মৃতিস্তম্ভ অর্জনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভূঞা, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল আলীম মাহমুদ।
ফুল দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে। এতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সিটি প্রেসক্লাব, রংপুর প্রেসক্লাব, সামজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শুক্রবার সকাল ৮টায় স্থানীয় জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের উন্মাদনা। ৪৮ সরকারি দপ্তরসহ অংশ নেয় ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও জেলার আট উপজেলা পরিষদসহ প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসব উদযাপন করা হয়।
এদিকে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগ, হল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন, কর্মচারী ইউনিয়ন, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (বেরোবিসাস), বেরোবি উইমেন পিস ক্যাফেসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা স্মারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও ভবনে আলোকসজ্জ্বা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন