সাড়ে ৬ লাখ টাকায় একটি পুরাতন কালো রঙের মাইক্রোবাস কিনেন রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। ওই মাইক্রোবাসে ৪ পরিবার ও চালকসহ ১৮ জন রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে সেন্ট্রালপার্কে পিকনিক করতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাজশাহীতে বাস, মাইক্রো ও লেগুনার ত্রিমুখি সংঘর্ষে ১৭ জনই নিহত হন। এর মধ্যে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় মাইক্রোবাসের চালক। নিহতদের সকলেরই বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে। তাদের মৃত্যুতে রংপুরের পীরগঞ্জে চলছে শোকের মাতম। পরিবারগুলোতে কান্নার মানুষও নেই।
রামনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম বিএসসি জানান, দুর্ঘটনায় তার ইউনিয়নেই ১০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আব্দুল করিম সরকার নামে এক ব্যক্তির দুই মেয়ে, এক জামাই ও দুই নাতি নাতনি রয়েছে। তারা হলেন- জামাই সালাউদ্দিন, মেয়ে সামছু নাহার, কামরুন নাহার, নাতি সাজিদ ও নাতনি সাবা। একই ইউনিয়নের ফুল মিয়া ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম, ছেলে ফয়সাল মিয়া , মেয়ে সুমাইয়া ও ছোট মেয়ে সাজিদা নিহত হন। রায়পুর ইউনিয়নে মারা গেছেন ৩ জন।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুরে রহমান দুলাল বলেন, তার এলাকার ডাইরকা পাড়া গ্রামের পেশায় মেকানিক মোকলেছার রহমান, তার স্ত্রী পারভিন আক্তারও ছেলে পাভেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এছাড়া দুরাকুটি গ্রামের শহিদুল ইসলামও নিহত হন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম জানান, তার গ্রাম উপজেলা সদরের প্রজাপাড়ায় ৩ জন ও পৌরসভা এলাকার একজন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মেকানিক তাজুল করিম সোহেল ওরফে ভুট্টু, স্ত্রী মুক্তা বেগম ও ছেলে ইয়ামিন হাসান। এছাড়া পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের পচাকান্ত গ্রামের মাইক্রোবাস চালক হানিফ মিয়া ওরফে পঁচা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত