কঠোর লকডাউনে বন্ধ আছে গণপরিবহন। এ খাতে জড়িত রাজশাহীর প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবার দিশেহারা জীবন-জীবিকা নিয়ে। নেই কাজ, এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। আয়শূন্য এসব মানুষের দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে। এমন অবস্থায় চরম হতাশায় দিন পার করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালানোর দাবিতে রবিবার বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
ভুক্তভোগীরা জানান, জমানো টাকা যা ছিল তা দিয়ে লকডাউনে মাত্র কয়েকদিন পার করেছেন। ঋণের বোঝাও বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা চান গণপরিবহন শ্রমিকরা। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধ ও কঠিন বেড়াজালে আটকা গণপরিবহন নামের বাস সেবা। রাজধানীর বাইরে অন্যান্য জেলায়ও বন্ধ যাতায়াত।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য বাসচালক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘লকডাউনে অনেক চিন্তার মধ্যে দিন পার করেছি। কীভাবে চলব পরিবার-পরিজন নিয়ে। আমরা বাসচালকরা ‘দিন আনি দিন খাই’। আমাদের জমানো টাকা থাকে না। এজন্য সমস্যায় পড়তে হয়। এ লকডাউন আরো বাড়লে তখন কী খাব কী করব কিছুই মাথায় আসছে না।’
বাস হেলপার রহিম মিয়া বলেন, ‘আমাদের রুটি-রুজি বাসে কাজ করে জোগাড় করতে হয়। অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। কারো কাছ থেকে পাচ্ছি না অনুদান, না পাচ্ছি সাহায্য বা ধার। প্রায় দিনই শেষ রাতে কোনোরকম কিছু খেয়ে রোজা রাখতে হয়।’
এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রবিবার রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। সকালে নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনালে তারা বিক্ষোভ করেন।
রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারীতে সব কিছু চালু থাকলেও গণপরিবহন বন্ধ আছ। এতে পরিবহন শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। গণপরিবহন চালুর দাবিতে তারা বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলনে তারা যাবেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ