শিরোনাম
৭ মে, ২০২১ ১৭:৩৬

রাজশাহীতে স্থাপিত হচ্ছে আরও একটি পিসিআর ল্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে স্থাপিত হচ্ছে আরও একটি পিসিআর ল্যাব
অবশেষে করোনার নমুনা পরীক্ষার আরও একটি পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন নিতে রাজি হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) কর্তৃপক্ষ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নমুনা পরীক্ষার চাপ বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই মেশিনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে জনবল সংকটের কারণ দেখিয়ে প্রথমে রামেক এই মেশিন নিতে রাজি হয়নি।
 
তবে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ পিসিআরটি নিতে রাজি হয়েছে। এখন কলেজে আরও একটি ল্যাব প্রস্তুতের কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে ল্যাব প্রস্তুত হলেই মেশিনটি রাজশাহী আসবে। অত্যাধুনিক এই মেশিনটি একসঙ্গে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে। রামেক প্রথমে মেশিনটি নিতে আগ্রহ না দেখানোর কারণে সেটি খুলনায় দিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কথাবার্তা চলছিল।
 
রামেকের ভাইরোলজি বিভাগে এখন দুটি পিসিআর মেশিন চলে। প্রতিটি মেশিনে এক শিফটে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। এখন নমুনার চাপ থাকলে প্রতিদিন প্রতিটি মেশিনে দুই শিফট করে মোট ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রামেক হাসপাতালের ল্যাবেও একটি পিসিআর মেশিনে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন মেশিনটি চালু হলে রাজশাহীতে মোট পিসিআর হবে চারটি।
 
এদিকে, রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতালেও ‘জিন-এক্সপার্ট’ মেশিনে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে এখানে শুধু সেখানকার ভর্তি থাকা রোগী, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রামেক হাসপাতালেও শুধু রোগী ও চিকিৎসক-নার্সদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শুধু রামেকের দুটি পিসিআর ল্যাবেই সব শ্রেণি-পেশার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
 
এখানে রাজশাহীও ছাড়াও জয়পুরহাট, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং নওগাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিককালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর নমুনার চাপ বেড়ে যাওয়ায় সবগুলো রামেকে পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছিল না। বাড়তি নমুনা পাঠাতে হচ্ছিল ঢাকা। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখানে আরেকটি পিসিআর বরাদ্দ দেয়। এছাড়া পাবনা মেডিকেল কলেজ ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজেও (শজিমেক) একটি করে পিসিআর মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে শুধু রামেক এই মেশিন নিতে আগ্রহী ছিল না।
 
গত ২৭ এপ্রিল রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি আলোচিত হয়। সভায় গণপূর্তের পক্ষ থেকে ল্যাব স্থাপনে নিজেদের প্রস্তুতি থাকার কথা জানানো হয়। কিন্তু নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর মেশিনটি দ্রুত স্থাপনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালককে তাগিদ দেন। শেষ পর্যন্ত রামেক মেশিনটি নিতে রাজি হয়। এরপর গণপূর্ত অধিদপ্তর ল্যাব প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছে।
 
রামেকের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমাদের জনবল কম। আগের ল্যাবটিই করা হয়েছে ফরেনসিক বিভাগের পাঁচটি রুম নিয়ে। চিকিৎসকরা এখন বসার মতই জায়গা পান না। আরও একটি পিসিআর মেশিন নিয়ে ল্যাব করার মত ভাল জায়গা আমাদের ছিল না। জনবলেরও ঘাটতি আছে। সে কারণেই আমরা প্রথমে এই মেশিন নিতে আগ্রহী ছিলাম না। পরে চিন্তা-ভাবনা করে রাজশাহীর ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ আমরা মেশিনটি নিচ্ছি। এখন ল্যাব প্রস্তুত করার কাজ দ্রুতই এগোচ্ছে।’
 
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর