রাজধানীর খিলক্ষেতে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয় পোশাক কারখানার শ্রমিক শারমিন বেগমকে (৩৬)। ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশের কাছে দেওয়ার কথা বলায় পূর্বপরিচিত রিকশাচালক সুমন কুমার (১৮) তাকে হত্যা করেন। এরপর মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যান।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন কুড়াতলী কাজী বাড়ি মোড় এলাকা থেকে সুমন কুমারকে গ্রেফতারের পর সোমবার এসব তথ্য জানায় র্যাব-১।
সুমনের কাছ থেকে শারমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাব জানায়, ধর্ষণের ঘটনা চাপা দিতে তাকে জোর করেন অভিযুক্ত রিকশাচালক। তবে এতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দিতে চাওয়ায় তাকে খুন করেন অভিযুক্ত।
গত শনিবার সকালে খিলক্ষেতে রাস্তার পাশে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ বলেন, শারমিন খিলক্ষেত এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সুমন বেশ কিছুদিন ধরে পোশাক কারখানায় এবং বাসায় আসা-যাওয়ার পথে অনুসরণ করত শারমিনকে। ১০ থেকে ১২ দিন আগে শারমিনের সঙ্গে তার প্রথম পরিচয় হয়। এরপর শারমিনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়। ১৩ এপ্রিল শারমিনকে রিকশায় নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে সুমন। ১৫ এপ্রিল রিকশায় ঘোরাঘুরির কথা বলে শারমিনকে তার বাসা থেকে খিলক্ষেতে ডেকে নিয়ে আসে। পরে কৌশলে শারমিনকে ধর্ষণ করেন সুমন। ধর্ষণের কথা সুমন গোপন করতে বললে শারমিন অস্বীকৃতি জানান। ধর্ষণের ঘটনায় তিনি থানায় নালিশ করবেন জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন একপর্যায়ে শারমিনের গলার ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে রাস্তার পাশে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ