নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রসহ শহরের দেওভোগ মুলিবাশ এলাকার সন্ত্রাসী সাল্লু ও রাজু বাহিনীর ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজওয়ান হক দীপু। তিনি জানান, সোমবার রাতে তাদেরকে ফতুল্লা মডেল থানা সীমান্তের বাশমুলি তিন রাস্তা মোড়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
আটকরা হলেন ফতুল্লা মডেল থানার ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার ওসমান গনির ভাড়াটিয়া সোলেয়মানের পুত্র রিফাত (১৯), একই এলাকার তারা মিয়ার ভাড়াটিয়া আমাদুলের পুত্র মোঃ শাহিন (১৯), মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার হাকিমের বাড়ীর ভাড়াটিয়া দুলাল মিয়ার পুত্র মামুনর (২১), ভোলাইল শান্তি নগর এলাকার আবু তাহেরের বাড়ীর ভাড়াটিয়া গুলজারের পুত্র মোঃ রাজু (১৭),দেওভোগ মাদ্রাসা সংলগ্ন গিয়াস উদ্দিন উকিলের বাড়ীর ভাড়াটিয়া সাজু মিয়ার পুত্র সামাদ (১৯) ও একই এলাকার জামাল মুদির ভাড়াটিয়া মৃত আলমাস মিয়ার পুত্র সাহিন (৪৬)।
আটকদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটক ৬ জনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী সাল্লু বাহিনীর প্রধান সাল্লু, রাজু বাহিনীর প্রধান রাজুকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।
আটকের কারণ জানিয়ে ওসি আরও বলেন, এলাকার আধিপত্য ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং লিডার সাল্লু বাহিনী ও রাজু প্রধান বাহিনীর মধ্যে গত এক মাসেরও বেশী সময় ধরে প্রতিনিয়ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের সন্ত্রাসীদের হাতে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্রসহ বোমার ব্যবহার করে এলাকায় আতংকের সৃষ্টিসহ সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অহেতুক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত ১১ টার দিকে উভয় গ্রুপের সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণও ঘটায় সন্ত্রাসীরা। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ দেশীয় অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। তবে দুই বাহিনীর প্রধান সাল্লু ও রাজু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তাদের আটকে অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল