ঢাকা শহরে স্কুল বাস চালুর উদ্যোগকে ঢাকার অভিভাবকেরা সমর্থন জানালেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বড় হয়ে উঠেছে। অভিভাবকেরা বলেছেন, এদেশের বাসচালকদের অধিকাংশ অশিক্ষিত ও সঠিক ব্যবহার জানেন না। সবচেয়ে বড় সমস্যা তারা নারীদের হেয় করেন।
সেজন্য ঢাকা উত্তরের মেয়রের কাছে অভিভাবকেরা দাবি করেছেন, বাসে যেন নারী সহকারী রাখা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হবে না।
বুধবার বিকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার স্কুলগুলোতে বাস সার্ভিস প্রবর্তন সংক্রান্ত প্রাথমিক কর্মকৌশল নির্ধারণ বিষয়ক সভায় অভিভাবকারা এ দাবি তোলেন।
স্কলাসটিকা স্কুলের অভিভাবক নিরুপমা ইকবাল মেয়রের কাছে জানতে চান, এই উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে চালু থাকবে কি না? এ অভিভাবকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা সমীক্ষা করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবো যেন উদ্যোগ সফল হয়।
অন্য এক অভিভাবক বাসের চালক ও সহকারীদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে অতীতে অপরাধ প্রবণতা নেই এমন মানুষদের এ পদে রাখা ও বাসগুলোতে নারী সহকারী রাখার বিষয়ে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়ে এ অভিভাবকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, সন্তানরাই বাবা মায়ের সবচেয়ে মূলবান সম্পদ। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলবাসগুলোতে সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অ্যাপের মাধ্যমে ট্র্যাকিং ব্যবস্থা থাকবে।
নিরাপত্তার জন্য স্কুলবাসের চালক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। একটি হটলাইন নম্বর থাকবে যেটির মাধ্যমে অভিভাবকরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী। তাদের যেন ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করতে হয় সেক্ষেত্রে নিরাপদ স্কুলবাসই চমৎকার সমাধান হবে। সময়, নিরাপত্তা ও খরচ সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই বাস সার্ভিসটি চালু করা হবে। আমরা মনে করি এটি একটি টেকসই সমাধান হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ