রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ইট-ভাটার মধ্যে নির্যাতন ও শরীরের বিভিন্ন অংশে সিগারেটের ছাঁকা দিয়ে নির্যাতন করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। নির্যাতনের শিকার কিশোর সামিউল আলম এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার গড়েরমাঠ গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে।
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নির্যাতনে আহত হয়ে সামিউল আলম বর্তমানে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় নির্যাতিত সামিউলের মা হালিমা বেগম বুধবার গোদাগাড়ী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার লস্করহাটি গ্রামের মেহেদী পলাশ (২৫), মহিশালবাড়ী আলীপুর গ্রামের আবদুল আওয়াল (২৫), গড়ের মাঠের জাহিদ (১৪), মাদারপুর গ্রামের শাহরিয়ার জয় (১৮) সহ আরও তাদের সঙ্গে থাকা ৫-৬ জন।
সামিউলের চাচা আবদুল হামিদ জানান, নির্যাতিত সামিউল অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া তার চাচাতো বোনের সঙ্গে লস্করহাটি গ্রামের মেহেদী পালশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তাকে বাড়িতে শাসন করে। এ কথায় মেহেদী পলাশ ক্ষিপ্ত হয় সামিউল আলমের উপর। পরে মেহেদী পলাশ তার সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে সামিউল আলমকে তুলে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করে।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে সামিউল আলম তার নানীর বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে আসার সময় হলের মোড় থেকে রবিউল আওয়াল মোটরসাইকেলে তুলে গোদাগাড়ী সদর জেনারেল হাসপাতালের সামনের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। পরে তারা একটি রিকশা ভাড়া করে আবারও লস্কহাটি গ্রামের নির্জনা মাঠের ভিতর একটি ইট-ভাটায় নিয়ে গিয়ে লোহার রড, লাঠিসহ কিল ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন জানতে পেরে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।
সামিউল আলম বলে, ‘এদের মধ্যে একজন আমি যাতে বেশি চিৎকার চেঁচামেচি না করতে পারি এজন্য ধারালো খুর নিয়ে ভয় দিখাচ্ছিলো। তারা মারধর করার মধ্যে আমার হাত ও পায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দিয়েছে।’
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে একজন উপ-পরিদর্শককে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর