প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ড. মো. আওলাদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি এখন বিশ্বের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ম্যাজিক জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশ ব্রিকস এর সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাকে ঘিরেই বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা তৈরি হয়েছে। জোহান্সবার্গে ব্রিকস-সম্মেলনের বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠান, সেমিনার এবং সাইড ইভেন্টগুলোতে শেখ হাসিনাই ছিলেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।’
১৫ ও ২১ আগস্টের শহীদদের স্মরণে ঢাকা-৪ নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক সকল ইউনিট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায়
আজ শুক্রবার বিকালে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গেন্ডারিয়া ডিআইটি প্লট চত্বরে শ্যামপুর থানার ৪৭ নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীবিবি ভোটকেন্দ্র ইউনিট এই সভার আয়োজন করে।
শোকদিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এই সাবেক ছাত্রনেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ১৯৭১ এর পরাজিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যাপক জনসমাগমে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ড. আওলাদ হোসেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে হবে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে উৎসাহিত করতে হবে। নির্বাচনকে উৎসবে পরিণত করতে হবে। নৌকা মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ী করে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চতুর্থবার সরকার গঠন করে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।’
মো. মিজানুর রহমান সেন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৫২ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাছিম মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৫১ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান বাবু।
অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নাছিম মিয়া, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৫১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌসী ইয়াসমিন পপি, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ উর রহমান মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার সামিউর রহমান অভি, দপ্তর সম্পাদক শরীফ মোহাম্মদ শাহজাহান, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম তিতুমীর হাওলাদার, ৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত মুফতি, ৫৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মহব্বত হোসেন, ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আলমগীর হোসেন, কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ মাহমুদ হেমী, কদমতলী থানা মহিলা শ্রমিক লীগ সভাপতি সাজেদা বেগম, শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সালমান সজিব, শ্যামপুর থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শফিক হাসান, শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিউটি বেগমসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের থানা, ওয়ার্ড শাখার অন্য নেতৃবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ