২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৯:২১

বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের প্রসার চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন

অনলাইন প্রতিবেদক

বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের প্রসার চায় এমএলটি ফাউন্ডেশন

২০১৯ থেকে বাংলাদেশে ই-স্পোর্টসের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। আধুনিক প্রতিযোগিতার মধ্যে মোবাইল গেমিং এবং ক্রিকেটের মধ্যে ই-স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে, যা একে অপরের সাথে সামঞ্জস্যিকভাবে বেশি প্রচলিত। বিভিন্ন ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্ট এবং লীগে বাংলাদেশি টিমগুলি অংশগ্রহণ করে থাকে। বর্তমানে ই-স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রির সাথে সরাসরি ও পারিপার্শ্বিকভাবে ২৫টি অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি জড়িত আছে যা ভবিষ্যতে আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে ১৮টি দেশে ই-স্পোর্টস সরকারি মন্ত্রণালয় ও ফেডারেশনের আওতাধীন আছে। 

শুক্রবার সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এমএলটি ফাউন্ডেশন চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) অনিক মৃধা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবির বিন সাফি, সহ সভাপতি এটিএম মুশফিক মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ মো: সাদ্দাম হোসেন অনিক মৃধা ও নির্বাহী সদস্য সৈয়দ এহরাজ আলি।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, গত ৪ বছরে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে সর্বমোট ৩৮টি ই-স্পোর্টস কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে কোভিড ১৯ এর সময় বাংলাদেশীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম উন্নত হয়েছে। নাম করা ৪০ জন স্ট্রিমারের বার্ষিক আয় ছিলো (আনুমানিক) ১২ কোটি টাকা। প্রশাসনিক, প্রতিষ্ঠানিক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইস্পোর্টসের ব্যাপারে ধারণা একেবারেই নাজুক। তারপরেও বাংলাদেশে যেভাবে ই-স্পোর্টস এগিয়ে যাচ্ছে তাতে পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে আরও প্রসারণ সহজেই ঘটানো সম্ভব, যেটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।
 প্রেক্ষিতে যা সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন হবে তা এমএলটি স্পোর্টস প্রদান করবে, যেন ক্রিকেট ফুটবল ছাড়াও অন্যান্য খেলাধুলা দিয়ে বাংলাদেশের নাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, অনেক সময় আমরা অসাধারণ উদ্ভাবন বা আবিষ্কার দেখি কিন্তু সেই আবিষ্কার বা উদ্ভাবনকে সহযোগিতা করার মতন তেমন কেউ  পাশে এসে দাঁড়ায় না। এমএলটি ফাউন্ডেশন তাদের পাশে দাঁড়াবে। আমরা ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশের আনাচে কানাছে থাকা স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো যাতে এই অসাধারণ ও আবিষ্কারক যুবক যুবতীদের খুঁজে বের করে তাদের আর্থিক ও স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দিতে পারি।

বিডি প্রতিদিন/এএ

সর্বশেষ খবর