ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. সাইদুর রহমান বলেছেন, ডিজিটাল জরিপে আমরা যে সিস্টেমে কাজ করছি সেটা যদি করতে পারি তাহলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা কমে আসবে। অনলাইনে সহজেই কাজগুলো করা যাবে। অনেকাংশেই জমিজমা নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা হয় সেগুলো কমে যাবে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকার চলমান ডিজিটাল ভূমি জরিপ সম্পর্কে সচেতনামূলক প্রচারণা ও করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমরা যেন প্রজেক্টটা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারি। এই প্রজেক্টের সফলতার উপর সারাদেশের কার্যক্রম নির্ভর করেছে। এই বিষয়টা আমাদের জন্য নতুন। এই নিয়ে পূর্বে কাজ হয়নি। আমরা সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করে সফল হতে পারি সে জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় জাল দলিল সৃজনের মাধ্যমে জমিগুলো বেহাত হয়ে যায় সেগুলো চেক দেয়া যাবে। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে বলবো যেন সর্বস্তরে বার্ত পৌঁছিয়ে দেয়া হয়- ডিজিটাল জরিপ চলছে আপনারা কাগজপত্র নিয়ে মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মোমিনুর রশীদ, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন, উপ প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা ও জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ‘এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রকল্পের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা ও ধামরাই উপজেলায় ডিজিটাল ভূমি জরিপ কাজ শুরু হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল