মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

পরীক্ষা না দেওয়ায় ৭৬ শিক্ষার্থীকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের একটি কোর্সের পরীক্ষা না দেওয়ায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ। মার্কেটিং বিভাগের ৭৬ জন শিক্ষার্থীকে মোট ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছে। বিবিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, পরীক্ষা না দেওয়া এক ধরনের অপরাধ। এই অপরাধে একাডেমিক কাউন্সিল  তাদের শাস্তি দিয়েছে। এ অপরাধে শাস্তি না দিলে অন্যরাও অপরাধে উৎসাহিত হবে। জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর বিবিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সপ্তম সেমিস্টারের ফাইনাল MKT-414 কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগে ২২ অক্টোবর ওই বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন উর রশিদ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তার দেখানো হয়। তীব্র জ¦র থাকায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ২৩ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মামুনুর রশিদ অসুস্থ থাকায় ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সপ্তম সেমিস্টারের ফাইনাল MKT-414 কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ওই বিভাগের কোনো শিক্ষার্থী। এদিকে বিবিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ওই কোর্সের মানোন্নয়ন পরীক্ষা নেওয়ারও সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ২৬তম সভায় মার্কেটিং বিভাগের ওই কোর্সে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে। সে হিসাবে ওই বিভাগের ৭৬ জন শিক্ষার্থীকে মোট ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়পূর্বক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ব্যাপারে মার্কেটিং বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী বাহাউদ্দিন আবির বলেন, ‘এই জরিমানা অযৌক্তিক এবং অনেকেরই সামর্থ্যরে বাইরে। এই শাস্তি লঘু পাপে গুরু দন্দের মতো।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর জুলুম করা হচ্ছে। ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ, তাই গোটা ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে না- এটা বড় ধরনের অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা সেই শাস্তি দেইনি। এখন এই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে হলে নতুন করে পরীক্ষার সব ব্যবস্থা করতে হবে। এতে অনেক টাকা খরচ হবে। পরীক্ষা নেওয়ার খরচ হিসেবেই তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাডেমিক কাউন্সিল।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর