শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির পর ফের কারণ দর্শানোর নোটিশ

কর্ণফুলীর শিপ বিল্ডার্সের স্থাপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও চট্টগ্রাম

কর্ণফুলী নদীর তীরে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত আপিল বিভাগে বহাল থাকার পরও ওই স্থাপনা উচ্ছেদে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

গতকাল চট্টগ্রামের তৃতীয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সরকার কবির উদ্দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নোটিসের জবাব চেয়ে এ আদেশ দেন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদর সার্কেলকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

এদিকে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হওয়ার পর নিম্ন আদালতের ফের এমন নোটিসে বিস্মিত রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের পরও যদি বিচারিক আদালত তা আমলে না নেয় তাহলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা থাকবে না। আর ওই বিচারক যদি আপিল বিভাগের আদেশ না জেনে আদেশ দিয়ে থাকেন তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের উচিত তাকে বিষয়টি জানানো। মনজিল মোরসেদ বলেন, বিচারক যদি জেনে-শুনে আদেশ দিয়ে থাকেন, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে উচ্চ আদালতে যাব।

 এর আগে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুর রশিদ আদালতে স্থাপনা উচ্ছেদে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত্রে আদালত এ কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘আদালত আমাদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আমরা অবশ্যই জবাব দেব। আর আদালত এটা চাইতেই পারে।’ এর আগে গত ১৫ এপ্রিল চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। এর ফলে অপিলকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের যতটুকু জায়গায় নদীর অংশে পড়েছে, সেটুকু ভাঙতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

সর্বশেষ খবর