বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

রিয়াল দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাঁচ প্রতারক গ্রেফতার

সক্রিয় সংঘবদ্ধ ছদ্মবেশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসমাইল হোসেন। তিনি কাজ করেন আলফা লজিস্টিকস লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানে। গত ১৭ অক্টোবর বেলা ১১টায় প্রাইম ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে দেড় লাখ টাকা তুলে অফিসে ফিরছিলেন। এ সময় ‘স্যার’ বলে কেউ একজন তাকে ডাক দিলেন। ফিরে তাকিয়ে দেখেন- গুলশান-১ এর ফুটপাথের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক সিএনজি অটোচালক। সাড়া দিয়ে তার কাছে গেলে তাকে ওমানের কিছু রিয়াল দেখায় ওই চালক। তখন ইসমাইলের কাছে জানতে চায়- নোটগুলো সে ভাঙাতে চায়, কিন্তু কোথায় ভাঙাবেন? এ কথা শেষ না হতেই হঠাৎ পাশ থেকে এক যুবক এসে চালকের কাছ থেকে নোটগুলো নাড়াচাড়া করে ভালোভাবে দেখে। পকেট থেকে তার মোবাইলফোন বের করে নিজে নিজে কিছু একটা হিসাব করে দেখল। এরপর বলল- নোটগুলোর অনেক দাম। তখন ওই যুবক চালকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকায় একটা নোট কিনে নেয়। এরপর আরও এক লোক এসে ১৪টি ওমানের রিয়ালের দাম তার মোবাইলফোনে হিসাব করে জানাল- নোটগুলোর      মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ লাখ টাকা। পরে ইসমাইলকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজিচালক ১৪টি ওমানের নোট দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দ্রুত চলে যায়। মনে একটু সন্দেহ হওয়ায় ইসমাইল সিএনজির নম্বর প্লেটটি মুখস্থ করে রাখেন। পরে তিনি মানি এক্সচেঞ্জের দোকানে গিয়ে জানতে পারেন ওমানের ওই ১৪টি নোটের মূল্য মাত্র ১০০০ টাকা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার গুলশান থানায় তিনি মামলা করেন। গতকাল ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা প্রতারকচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আবু সাঈদ (৩২), মামুন হোসাইন (৩০), হাবিবুর রহমান (৩৭), মাসুম হোসেন (২৯) ও মামুন শরীফ (৩৪)। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতেই খিলগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে সিএনজিচালক আবু সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে গতকাল ভোরে লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে মামুন হোসাইন, হাবিবুর রহমান, মাসুম হোসেন ও মামুন শরীফকে গ্রেফতার করা হয়। তারা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সিএনজিসহ অবস্থান নিয়ে টাকা বহনকারী সহজ-সরল ব্যক্তিকে টার্গেট করে কৌশলে তাদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ওমানের নোট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

সর্বশেষ খবর