শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী

চবি প্রতিনিধি

চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন সাবেক উপাচার্য ও বর্তমান উপাচার্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘প্রাণের উৎসবে মাতি উল্লাসে’ স্লোগানে হয়ে গেল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসব। চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ মিলনমেলায় সারা দেশ থেকে হাজির হন বিশ্ববিদ্যালয়ের আট হাজারের বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থী। অনেকেই আসেন সপরিবারে। রং- বেরঙের টি-শার্ট, বেলুন, টুপি, প্লাকার্র্ড, ফেস্টুন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে চট্টগ্রাম শহর মাতিয়ে রাখেন চবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। হয় দলবেঁধে গান, জমিয়ে আড্ডা। দীর্ঘদিন  পর পুরনো বন্ধু, সহপাঠীদের কাছে পাওয়ায় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান পরিণত হয় প্রাণের উৎসবে। গতকাল সকাল থেকেই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আগত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয় চট্টগ্রাম নগরী। সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনের উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও সংগঠনের সভাপতি আবদুল করিম। জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনী উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সাবেক চার উপাচার্যকে সংবর্ধিত করা হয়। প্রাণের উৎসবে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম ছুটে যান চবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। চবির সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কামরুল হাসান হারুন শোক প্রস্তাব পেশ করেন। এতে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন এবং আগে-পরে যারা মারা গেছেন সবাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন সাবেক উপাচার্য ও বর্তমান উপাচার্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সাবেক উপাচার্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, অধ্যাপক ড. এম বদিউল আলম, অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন, অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ১৫তম ব্যাচের সাবেক ছাত্র ও পরিষদের আহ্বায়ক আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, ‘আমরা প্রথম পুনর্মিলনী উদ্যোগের শুরুতে আশা করেছিলাম, হয়তো দুই-তিন হাজার প্রাক্তন এতে অংশ নেবেন। কিন্তু আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আট হাজারের বেশি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। এই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করা, মানবতার কল্যাণে কাজ করা। আমরা শুধু পুনর্মিলনী নয়, নিয়মিত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, জব ফেয়ার আয়োজন করব। বুলেটিন প্রকাশ করা হবে। প্রতি রেজিস্ট্রেশনের দুই হাজার টাকা করে আট হাজার প্রাক্তনের কোনো টাকা খরচ করা হয়নি। এই টাকা সংগঠনের স্থায়ী তহবিল গঠনের পাশাপাশি অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির জন্য তহবিল গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও সংগঠনের সভাপতি আবদুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, চাকসুর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দীন এবং সাবেক উপাচার্যবৃন্দ। এর আগে ২১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিকাল ৩টায় চবির চারুকলা ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ৪৯টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পুনর্মিলনীতে নিবন্ধন করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর