মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রচারণায় এমপির অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা সংশোধন করার দাবি জানিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত দলটির ঢাকা মহানগরীর নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে ১৪ দলের মহানগরী নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোহাম্মদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘দুনিয়ার কোন জায়গায় আছে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন পরিচালনায় থাকতে পারবেন না? ভারতের নির্বাচনে মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ক্যাম্পেইন করেছেন প্রার্থীর পক্ষে। আর আমি, রাশেদ খান মেনন, এখন ঘরের মধ্যে বলে যাচ্ছি... বাইরে গিয়ে বলতে পারব না। নৌকার পক্ষে কথা বলতে পারব না। আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আমি কেন আরেকজনের জন্য প্রচার করতে পারব না? তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, রাশেদ খান মেনন এক দলের প্রধান অথচ প্রচার করতে পারবেন না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ প্রচার করবেন। আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ আমরা কেউ প্রচার করতে পারব না! কোথায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলো? মন্ত্রীরা পারবেন না সমস্যা নেই। কিন্তু যিনি একজন এমপি, দলের নেতা, তিনি কেন প্রচার করতে পারবেন না? এটা হতে পারে না। ১৪ দল থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ১৪ দলের এই মুখপাত্র বলেন, ‘চক্রান্ত হচ্ছে। কারণ বিএনপি সব সময় পেছনের দরজা দিয়ে চক্রান্ত করে বারবার ক্ষমতায় এসেছে। জনগণকে তারা ভয় পায়। নির্বাচন কমিশনকে বলব, কোমর শক্ত করে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী চান, ১৪ দল চায়, কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন যেন না হয়।’

তিনি বলেন, ‘তাপস হচ্ছেন একজন সজ্জন প্রার্থী, ভদ্রলোক, তার পিতার আত্মত্যাগ মানুষের মনে আছে। একজন মেয়র হিসেবে খুব দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে পারবেন, যা কেউ পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে শেখ হাসিনাকে বলতে পারবেন, এ কাজটি করতে হবে, অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর