বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সাবধান! অটোরিকশা ‘ভয়ঙ্কর’

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সাবধান! অটোরিকশা ‘ভয়ঙ্কর’

ঢাকা থেকে রাতের বাসে সিলেট ফেরেন নগরীর জেলরোডের সাফকাত আহমদ। সঙ্গে ছিলেন বয়োবৃদ্ধ বাবা। দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বরে বাস থেকে নেমে সিএনজি অটোরিকশাযোগে ফিরছিলেন বাসায়। শাহজালাল সেতুর উপরে ওঠার পর বন্ধ হয়ে যায় অটোরিকশাটি। মেরামতের কথা বলে অটোরিকশা থেকে নামেন চালক। এসময় পেছন থেকে আরেকটি অটোরিকশায় তিনজন ছিনতাইকারী এসে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে সাফকাত ও তার বাবার কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রিকশা ডেকে সাফকাত বাসার পথ ধরলে নষ্টের ভান করা চালকও তার অটোরিকশাটি নিয়ে হাওয়া হয়ে যায়। অটোরিকশা চালকদের যোগসাজশে সিলেট নগরীতে প্রায় প্রতিদিনই এরকম ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ছিনতাই, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধকর্মকান্ডে এখন বাহন হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সিএনজি অটোরিকশা। ফলে অটোরিকশার যাত্রীরা হয়ে পড়েছেন নিরাপত্তাহীনে। মাঝে মধ্যে পুলিশের হাতে এই চক্রের সদস্যরা ধরা পড়লেও বন্ধ হচ্ছে না অটোরিকশা চালকের ছদ্মবেশি অপরাধীদের দৌরাত্ম্য।

জানা গেছে, সিলেট মহানগরীতে অটোরিকশা নিয়ে ছিনতাইয়ে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। এই চক্র টার্গেট নির্ধারণ করে ওতপেতে বসে থাকে। টার্গেট করা যাত্রী সিএনজি অটোরিকশাতে উঠলেই সঙ্গে উঠে পড়েন ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। কোনো কোনো সময় আগে থেকেই অটোরিকশায় যাত্রীসেজে বসা থাকে ছিনতাইকারীরা। পরে অটোরিকশাটি  কোনো নির্জন জায়গায় পৌঁছলে অস্ত্র ঠেকিয়ে যাত্রীর সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে তাকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া বলেন,   যেসব চালক ছিনতাইসহ অপরাধ কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত তারা মূলত কোনো স্ট্যান্ডের চালক নন। তারা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে। সুযোগ বুঝে ছিনতাই করে। এদের ব্যাপারে অন্য চালক ও যাত্রীরা সচেতন থাকতে অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। অপরাধ কর্মকান্ডে অটোরিকশার ব্যবহার প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘অটোরিকশা ব্যবহার করে ছিনতাইয়ে জড়িতদের ধরতে পুলিশের বিশেষ নজরদারি রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর