উচ্চ আদালত ‘সাইনবোর্ড বাংলায় লেখার’ নির্দেশ দেয় ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পাঁচ বছর পর, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর থেকে বিদেশি ভাষার সাইনবোর্ড কালো কালি দিয়ে মোচন করতে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। প্রায় ১৫টি অভিযানে তিন শতাধিক বিদেশি ভাষার সাইনবোর্ড কালো কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়। কিন্তু গত প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ আছে এ অভিযান। এ অবস্থায় রায়ের পাঁচ বছর পরও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি ভাষায় লেখা সাইনবোর্ড বিদ্যমান। বাংলা লেখার সাইনবোর্ড স্থাপনে এখনো অনেকেই উদাসীন। ফলে উপেক্ষিত হচ্ছে আদালতের নির্দেশনা। সর্বত্র দৃশ্যমান হচ্ছে বিদেশি ভাষার সাইনবোর্ড। এখন চলছে ভাষার মাস। ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পরও বাঙালিকে ইংরেজি ভাষায় লেখা সাইনবোর্ড দেখতে হচ্ছে। বাণিজ্যিকসহ সর্বত্র বিদেশি ভাষার প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি দৃষ্টিকটু হলেও নগরবাসী অনেকটা নিরুপায় বলে জানা যায়। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আদালতের নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নির্দেশনা মতে, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইংরেজি লেখা সাইনবোর্ড কালো কালি দিয়ে মোচনের অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে হয়তো অভিযানটির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায়নি। এটি চলমান কাজ। তাই আবারো শুরু হবে।’ সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে ইংরেজি লেখা সাইনবোর্ড। বাণিজ্যিক সাইনবোর্ডগুলোর অধিকাংশই ইংরেজিতে লেখা। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শাখাসহ প্রায় সব সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা। চসিক সূত্রে জানা যায়, একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত ‘দেশের সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বরপ্লেট সরকারি দফতরের নামফলক এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার’ বন্ধে আদালতের নির্দেশনার বাস্তবায়নে চসিক ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যমান সব সাইনবোর্ড পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বাংলা ভাষায় প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আবারো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ‘সিটি করপোরেশন আওতাধীন এলাকায় (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) যেসব প্রতিষ্ঠানের নামফলক, সাইনবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা হয়নি তা স্ব উদ্যোগে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় লিখে প্রতিস্থাপন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নতুন/নবায়ন করার অনুরোধ করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৪ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলোকে আদেশটি কার্যকর করতে বলে। ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে দ্রুত সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইংরেজির স্থলে বাংলায় রূপান্তরের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করে।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন