মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
বীমা সুবিধার আওতায় আসছেন জেলেরা

বিএনপির পায়ের তলায় মাটি নেই, তারা গণবিচ্ছিন্ন

সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের এমপিরা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, শেখ হাসিনা যতদিন না যাবে ততদিন আমি ঘরে ফিরে যাব না। তারপর হরতাল অবরোধ করেছে। মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু খালেদা জিয়া এখন দুর্নীতির মামলায় জেলে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বসে দেশ চালাচ্ছেন। আর বিএনপি-জামায়াতের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে (ড. কামাল হোসেন) যারা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন, বাস্তবে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, তারা গণবিচ্ছিন্ন। তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ভয়াল অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে হত্যার হোলি খেলা শুরু হয়েছিল, সেটা জনগণ ভুলে যায়নি। আমরা শক্ত হাতে তা মোকাবিলা করে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন করতে সফল হয়েছি। দেশের জনগণ আপনাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ সময় তারা বিএনপি-জামায়াতকে ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদে ষষ্ঠ অধিবেশনে গতকাল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, হুইপ ইকবালুর রহীম, জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও সরকারি দলের আনোয়ার হোসেন খান। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে তা গ্রহণ করা হবে। কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, মাত্র এক দশকেই সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শুধু প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিই নয়, ৪০ ভাগ থেকে দারিদ্র্য ২০ ভাগে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার।

এদিকে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সংসদে জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৬ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে ১৪ লাখ ২০ হাজার জেলেকে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে গতকাল লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মৃত বা অক্ষম জেলেদের আর্থিক সুবিধা দিতে সরকার ‘আর্থিক সহায়তা নীতিমালা’-২০১৯ প্রণয়ন করেছে। এতে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিহত বা নিখোঁজ হলে তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এককালীন এবং স্থায়ীভাবে অক্ষম জেলেকে ২৫ হাজার টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে কোনো জেলের মৃত্যু হলে তাদের বীমা সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রতিবছর মে মাস থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তখন উপকূলীয় ১২টি জেলায় নিবন্ধিত ৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৮৪টি জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি করে ৩৫ হাজার ৯৪৭ মেট্রিক টন চাউল ভিজিএফ দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর