শিরোনাম
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

মামলা নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপি নেতারা

চসিক নির্বাচন

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী কে হচ্ছেন তা নিয়ে আজ-কালের মধ্যে কেন্দ্র থেকে ঘোষণা আসবে। তবে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে কারা কাউন্সিলর প্রার্থী হবেন তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মী এবং সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কারণ, বিএনপি সমর্থিত অনেক সাবেক কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনসহ বিভিন্ন অভিযোগে রয়েছে একাধিক মামলা। অনেকের বিরুদ্ধে আজগুবি ও মিথ্যা অভিযোগে নগরীর বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। আবার এসব মামলায় গ্রেফতার হয়ে অনেক নেতা-কর্মী জেলে বন্দী রয়েছেন। ফলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বিএনপি-যুবদলের অনেক যোগ্য নেতাকে বিভিন্ন অভিযোগে মামলার ঘানি নিয়ে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।  নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের মধ্যে আজ বুধবার থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ফরমের মূল্য রাখা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। যারা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করবেন তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত মনোনয়ন  দেওয়া হবে। দলীয় মনোনয়ন উপেক্ষা করে কেউ কাউন্সিলর প্রার্থী হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বিএনপির দায়িত্বশীলরা। নগর যুবদল নেতা শাহেদ আকবর জানান, আসন্œ সিটি নির্বাচনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি জানান, নগরীর ১০ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড থেকে তিনি নিজেই মনোনয়ন চাইবেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ৭/৮টি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। একইভাবে দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলম, পাঠানটুলী ওয়ার্ডের নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ১৮ নম্বর পূর্ববাকলিয়া ওয়ার্ডের আবু তৈয়ব, ১৭ নম্বর ষোলশহর ওয়ার্ডের এমদাদুল হক বাদশা, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের সেকান্দার হোসেন, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের মাহবুবুল আলম, মোশাররফ হোসেন, ৪০ নম্বর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের ইকবাল হোসেনসহ সম্ভাব্য অর্ধশতাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, অনেক সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ঠিকই, তবে এসব রাজনৈতিক মামলায় তারা জামিনে মুক্ত রয়েছেন। আর রাজনৈতিক মামলা থাকলেও রায় বা সাজা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন করতে আইনি কোনো বাধা নেই। তাই আমরা নতুন-পুরাতনদের মধ্য থেকে যোগ্যদের বাছাই করেই মনোনয়ন দেব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর