ছোটবেলা থেকেই তার গাছ লাগানোর প্রতি ঝোঁক। ভালোলাগা থেকেই সাতক্ষীরা সদরের নিজ বাড়ির ছাদে ফুল, ফল ও সবজির সমন্বয়ে গড়ে তোলেন ছাদকৃষি। স্বামীর সংসারে গিয়েও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন। পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীর বদলিজনিত চাকরি হওয়ায় টবে করেই ছাদকৃষিতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন দিলরুবা আলম। তার স্বামী মো. খাইরুল আলম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর)। সেই সূত্রে বরিশালের ভাড়া বাসার ছাদে ড্রাগন, আম, জাম, পেয়ারা গাছ, আনারস, আঙুর, আখ, লেবু, বেগুন, চালকুমড়া, লালশাক, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা, বনসাই, বাঁশ, ওষুধি গাছ অ্যালোভেরা, তুলসীপাতাসহ নানা ফল, সবজি ও ওষুধি বাগান গড়ে তুলেছেন। তার এ কাজে রয়েছে স্বামী খাইরুল আলমের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা। খাইরুল আলম জানান, লকডাউনের সময় ছাদবাগান থেকেই নিজেদের চাহিদার বেশির ভাগ শাক-সবজির জোগান এসেছে। অন্যদেরও তাদের বাগানের শাক-সবজি দিয়েছেন তারা। দিলরুবা আলম জানান, শৈশব থেকেই বাবার বাড়িতে শখের বশে গাছ লাগাতেন তিনি। গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করে তিনি আনন্দ পান। স্বামী তার এ কাজে উৎসাহ দেওয়ায় বাগান গড়ে তুলতে পেরেছেন। দিলরুবার মতে ছাদে ড্রাগন চাষ করা খুব সহজ। তিনি ছাদে ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন। প্রায়ই ফল ঘরে তুলছেন।
খাইরুল-দিলরুবা দম্পতি ভাড়া থাকেন নগরের আলেকান্দা পলিটেকনিক সড়কে সাবেক পৌর কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন আলোর চার তলা ভবনের চতুর্থ তলায়। মালিকের অনুমতি নিয়েই দিলরুবা চতুর্থ চলার ছাদে কৃষি গড়ে তুলেছেন।
বাড়ির মালিক বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন আলো বলেন, তার স্ত্রী-সন্তান কেউ দেশে থাকেন না। তার বাড়ি এক প্রকার খালি ছিল। ডিসি খাইরুল দম্পতি নিজেদের মতো করে তার বাড়িতে থাকছেন। তিনি তাদের ভাড়াটিয়া মনে করেন না। তিনি নিজে যেখানে ছাদে কৃষি করতে পারেননি, সেখানে তারা কয়েক বছরের জন্য এসে তার ছাদে কৃষি করায় তিনি বরং গর্বিত।