শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ৬ গুণ বৃদ্ধির সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিমান দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ প্রায় ছয় গুণ বৃদ্ধির বিধান রেখে ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল-২০২০’ পাসের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। পাশাপাশি বিমানের ব্যাগেজ হারানো গেলে ক্ষতিপূরণের হার ২০ ডলারের পরিবর্তে এক হাজার ডলার নির্ধারণ ও ফ্লাইট বিলম্বের কারণে ৫ হাজার ৭৩৪ ডলার জরিমানা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ আইন পাস হলে দুর্ঘটনা কবলিত উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষ বা বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বা আদালতের মাধ্যমে যাত্রীরা বা তাদের উত্তরাধিকাররা এ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবেন। মৃত যাত্রীর বৈধ উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ ভাগ করার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া করোনাকালীন পর্যটন করপোরেশনের অধীনে দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, তানভীর ইমাম, শেখ তন্ময় ও সৈয়দা রুবিনা আক্তার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে আলোচিত বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, কনভেনশনের আলোকে নতুন আইন না হওয়ায় কোনো দুর্ঘটনার জন্য প্রচলিত আইনে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ খুবই কম এবং তা আদায়ের পদ্ধতিও বেশ অস্পষ্ট, সময়সাপেক্ষ ও জটিল। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আকাশপথে চলাচলকারী যাত্রীর অধিকার সুরক্ষা বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ার কারণে যাত্রীর পরিবারকে প্রদেয় ক্ষতিপূরণ প্রায় ছয় গুণ বৃদ্ধি ও আদায় পদ্ধতি সহজ করা প্রয়োজন।

 এ ছাড়া বিলে দুর্ঘটনায় ব্যাগেজ ও কার্গোর ক্ষয়ক্ষতি বা ব্যাগেজ হারানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের আদায়ের হার আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। আগে মৃত্যু বা আঘাতজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ছিল আড়াই লাখ ফ্রাঙ্ক বা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা। সেটা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৪ ডলার বা ১ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা করা হয়েছে। নতুন আইনে ফ্লাইট বিলম্বের কারণে পরিবহনকারীর দায় ২০ ডলারের পরিবর্তে ৫ হাজার ৭৩৪ ডলার, ব্যাগেজ বিনষ্ট বা হারানোর জন্য প্রতি কেজিতে ২০ ডলারের পরিবর্তে ১ হাজার ৩৮১ ডলার এবং কার্গো উড়োজাহাজের মালামাল বিনষ্ট বা হারানোর জন্য প্রতি কেজিতে ২০ ডলারের পরিবর্তে ২৪ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর