বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

রহস্য মিলল চাঞ্চল্যকর ১২ হত্যাকান্ডের

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রহস্য মিলল চাঞ্চল্যকর ১২ হত্যাকান্ডের

১২টি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এসব হত্যাকা  ঘটে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার ব্যবসায়ী তোশারফ হোসেন পপি অপহরণ হন গত ১০ জানুয়ারি। ঢাকা থেকে আসার পর তাকে রংপুর বাসটার্মিনাল থেকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী ১৯ জানুয়ারি বসন্তপুর গ্রামের একটি আখ খেতের পাশ থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ২৯ জুলাই নগরীর হাজিরহাট থানা এলাকায় ৪ বছরের শিশু মুজাহেদুলকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২৫ জুলাই হাজিরহাট এলাকায় শিশু পূর্ণিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ধর্ষক ও হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।  গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হারাগাছে সুমন নামে এক যুবক নিখোঁজের পর খুন হন। মসজিদের পিছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তাজহাট এলাকায় কবিরাজ মতি মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। পরে ঘাঘট নদ হতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। চলতি বছরের ৫ জুন দুপুরে নিজ বাড়িতে খুন হন প্রবীণ আইনজীবী আসাদুল হক আসাদ। চুরির উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়। পুলিশ দ্রুততম সময়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে। চলতি বছরের ১৯ মে নগরীতে অবসরপ্রাপ্ত মহিলা অডিট কর্মকর্তা মোছা. আরজুমান বানু ওরফে মিনুকে নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গত ১ মে তাজহাট এলাকায় এন্তাজ আলী নামে এক বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়। পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর নগরীর বীরভদ্র হাতিভাঙ্গাপুল এলাকায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও তার দুই শিশুসন্তানকে স্বামী নৃশংসভাবে হত্যা করেন। হত্যাকাে  জড়িত গ্রেফতারকৃত স্বামী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর নগরীর মুন্সিপাড়ার কেরামতিয়া মসজিদের দক্ষিণে পাশে পুকুরপাড়ে মনোরুল ইসলাম নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের ১৪ নভেম্বর দিদার রসুল ওরফে মাটিয়া নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহামুদ বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থায় রয়েছে। চাঞ্চল্যকর হত্যা, অপহরণসহ বেশকিছু ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে নগরবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর