শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

মাছ-মুরগির দাম বাড়তি নতুন আলু আকাশছোঁয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাছ-মুরগির দাম বাড়তি নতুন আলু আকাশছোঁয়া

বাজার দর

রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজারগুলোতে মাছ ও মুরগির দাম বেড়েছে। ইলিশের দামও চড়া। তবে ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই রয়েছে। এদিকে বাজারে নতুন আলু ও পাতাসহ দেশি পিঁয়াজ উঠলেও দাম আকাশছোঁয়া। শীতের সবজি বাজারে এলেও দাম কমেনি। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর ফকিরাপুল, টিঅ্যান্ডটি বাজার, কমলাপুর, বাসাবো, খিলগাঁও, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকা। আর প্রতি কেজি রুই (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কই মাছ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, মিরর কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচকি ও মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩৮০ থেকে ৫৫০ টাকা, হরিণা চিংড়ি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ও গলদা ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতো থাকলেও দাম বেড়েছে মুরগির। এসব বাজারে বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৮০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের বাজার। এসব বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা, মহিষ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর বাজারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা, কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে  প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। এ প্রসঙ্গে কমলাপুর বাজারের মাছ বিক্রেতা রহমত আলী বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ নদী বা খাল-বিলে কম ধরা পড়ে। এ সময় ইলিশ মাছ সাগরে চলে যায়। এতে বাজারে মাছ কম আসে, দামও বেশি থাকে। আর ইলিশের দাম বাড়ার সঙ্গে অন্য মাছেরও দাম বেড়ে যায়। তবে একই বাজারের ক্রেতা আফসানা চৌধুরী বলেন, বাজারে ইলিশ কম থাকলেও অন্য সব মাছের সরবরাহ বেশি। তবে কেন দাম বেশি হবে। মাছের সরবরাহ কম হলে দাম বেশি সেটা মেনে নেওয়া যায়। অপরদিকে রাজধানীর বাজারগুলোতে বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলুর দাম চাওয়া হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। আর পাতাসহ এক কেজি পিঁয়াজের (শ্যালট, স্ক্যালিয়ন, মুড়ি পিঁয়াজ, কন্দ পিঁয়াজ, ¯িপ্রং অনিয়ন) দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে শীতের সবজিতে বাজার ভরা থাকলেও অধিকাংশ সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে দাম কমেছে শিম, বাঁধাকপি ও শসার। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আটা, ময়দা, চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও মসলার দামও। বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম আগের মতোই আছে, একটুও কমেনি। আগের মতোই প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, ঢেঁড়শ ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকায়, পেঁপে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, কচুর ছড়া ৫০ টাকায়, কচুর লতি ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, চিচিংগা ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, পটোল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, উচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি পিস বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকায়, প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, চাল কুমড়া (জালি) ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে দাম কমেছে শিম, বাঁধাকপি ও শসার। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়,  ৪০ টাকা কমে প্রতি কেজি ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। ১০ টাকা কমে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। কিছুটা কমেছে শাকের দাম। বাজারে তিন থেকে পাঁচ টাকা কমে প্রতি আঁটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়, পালং শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায়, ডাঁটা শাক ১৫ থেকে ২০ টাকায়, মূলা ১২ থেকে ১৫ টাকায়। তবে অপরিবর্তিতত রয়েছে লাউ ও কুমড়ার শাকের দাম। বাজারে লাউ ও কুমড়া শাক বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।

আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে ডিম, চাল, ডাল, ভোজ্যতেল। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৯৮ থেকে ১০২ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকায়, চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। এসব বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকায়, পায়জাম ৫০ থেকে ৫২ টাকায়, মিনিকেট প্রকারভেদে ৫৭ থেকে ৬০ টাকায়, নাজিরশাইল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়, বিভিন্ন ধরনের পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে। বাজারে দেশি পিঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে, দেশি (কিং) ৮৫ টাকায়, আমদানি করা মিশরের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, চায়না পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। পাতাসহ দেশি নতুন পিঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে, দেশি রসুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে, চায়না রসুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে, আদা (কেরালা) ১২০ টাকা কেজি দরে, আদা (চায়না) ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর