শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

কারণ ছাড়াই কেটে ফেলা হলো স্কুলের ১৭টি গাছ

কর্মকর্তাদের পকেট ভারী করতেই এই যজ্ঞ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

উন্নয়ন কর্মকান্ডের মতো গ্রহণযোগ্য কোনো কারণ ছাড়াই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৭টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে বন বিভাগ বা সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। গাছগুলো স্কুলের ভিতরে সৌন্দর্যবর্ধনের নিয়ামক ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখছিল বলে মনে করেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন সময় প্রচ- রোদে শিক্ষার্থীরা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছায়া উপভোগ করত। এভাবে পকেট ভারী করতে এত পুরনো গাছগুলো কেটে ফেলায় স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বুধবার দিনের বেলা গাছগুলো কাটলেও বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই গাছ কাটা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবেশ প্রেমীরা। এভাবে ২৮ বছর আগের রোপণ করা গাছগুলো কেটে ফেলায় স্কুল কর্তৃপক্ষ দায়ী করে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা জানান, সেই ছোটবেলা থেকে গাছগুলোকে দেখে আসছি। গাছগুলোর প্রতি আমাদের একটি অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল। এ ছাড়া স্কুলে যখন শিক্ষার্থী ছিলাম তখন প্রচ- রোদে মাঝেমধ্যে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কিন্তু এভাবে গাছগুলো কেটে ফেলায় অনেক কষ্ট পেয়েছি। স্কুলের বর্তমান এক শিক্ষার্থী জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ গাছ কাটা নিয়ে কোথাও কোনো কথা বলতে নিষেধ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, গাছগুলো ২৮ বছরের পুরনো। ১ লাখ ৫  হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। তবে গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগ বা সরকারি কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

তবে স্কুল কমিটি অনুমতি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গাছগুলোতে মূলত পোকায় ধরেছে। সে জন্য কাটা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, গাছগুলো সতেজ এবং পাতাগুলো সবুজ ছিল। পোকায় ধরেনি। স্কুল কমিটির কর্মকর্তারা পকেট ভারী করতেই গাছগুলো কেটেছে। তারা গাছ কাটার তদন্ত দাবি করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর