দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েও সিলেটে পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের দমানো যায়নি। দলীয় প্রার্থীদের বিপাকে ফেলে সিলেটে চারজন বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এসব প্রার্থীকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি সিলেটের জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি পৌরসভাতেই আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে জকিগঞ্জের পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন ফের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু তাকে চ্যালেঞ্জ করে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমদ ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল আহাদ। অন্যদিকে, গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন দলের পৌর কমিটির সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল এবং দলের পৌর কমিটির সাবেক প্রচার সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু। ইতিমধ্যে দলের এই চার বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু বহিষ্কৃত হয়েও নির্বাচনী মাঠ ছাড়তে কোনো নমনীয়তা দেখাচ্ছেন না ওই চার বিদ্রোহী প্রার্থী। ভোটের মাঠে বেশ জোরেশোরেই তারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে। ফলে এসব বিদ্রোহীদের নিয়ে দলীয় প্রার্থীরা আছেন অস্বস্তিতে। উভয় পৌরসভাতেই একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় এবার ভোটের বৈতরণী পার হতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় এবার এ দুই পৌরসভা ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কাও আছে আওয়ামী লীগে। জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি সিলেট বিভাগের সাতটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চারটিতে আওয়ামী লীগ এবং দুটিতে বিএনপির প্রার্থী, অপরটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। যে দুটিতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের ভরাডুবি ঘটে, সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। ফলে দলীয় প্রার্থীকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়। এবার সিলেটের দুটি পৌরসভাতেও বিদ্রোহী থাকায় দলীয় প্রার্থীরা আছেন বিপাকে। এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন, তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা এখন দলের কেউ নন। তাদের সঙ্গে দলের কেউ নেই। নির্বাচনে দলের আপামর নেতা-কর্মী দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে, ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।