সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনায় ভেঙে ফেলা হচ্ছে সেই পাঁচ তলা ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় ভেঙে ফেলা হচ্ছে সেই পাঁচ তলা ভবন

খুলনা নগরীর ময়লাপোতা মোড় এলাকায় গতকাল শাহজাহান ফার্মার সেই পাঁচ তলা ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

অবশেষে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। খুলনা নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জমি দ্বিতীয় দফায় প্লট হিসেবে বরাদ্দ দিলেও তার পক্ষে কাগজপত্র দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে গতকাল সকালে শাহজাহান ফার্মার সেই পাঁচ তলা ভবন ভাঙার কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ভারী বুলডোজার দিয়ে ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার প্রায় ১২ ফুট পর্যন্ত জায়গা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ সময় ভবন মালিক উচ্ছেদ কাজে বাধা দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। ভবনের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলার স্থাপনা সরিয়ে নিতে আরও এক দিন সময় দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, খুলনা শহরকে যানজটমুক্ত করে গড়ে তুলতে ১৭ জানুয়ারি শেরেবাংলা সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

 কিন্তু ময়লাপোতা মোড়ের ৭৫ ফুট চওড়া অধিগ্রহণকৃত সড়কের জমির ১৫ ফুট শাহজাহান ফার্মার অবৈধ দখলে থাকায় জটিলতা দেখা দেয়। ভবনের মালিক এই জমি কেডিএ’র কাছ থেকে বরাদ্দ নেওয়ার কথা বললে সিটি মেয়র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেডিএকে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন। তবে সাত দিন পরও কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভবন ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, খুলনা বিভাগের স্টেট ও আইন কর্মকর্তা অনিন্দিতা রায় জানান, ১৯৫০-৫১ সালে এখানে সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ময়লাপোতা মোড়ে অধিগ্রহণকৃত ওই জমির একাংশ প্লট হিসেবে কেডিএ বরাদ্দ দিয়েছে। সেখানে পাঁচ তলা ভবনও নির্মাণ হয়েছে। অবৈধ জমিতে থাকা এই স্থাপনা সরিয়ে নিতে ভবন মালিককে সাত দিন সময় দেওয়া হলেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তবে ভবনের মালিক আসিফ ইকবাল লিটন জানান, তারা প্লট বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ৪০ বছর ধরে বৈধভাবে এখানে বসবাস করছেন। কেডিএ জমি বরাদ্দ দিলেও তারা এখন উন্নয়নের জন্য জায়গা খালি করে দিতে বলছে। তবে আমাদের কোনো সময় না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, ময়লাপোতা মোড়ে অবৈধ দখলের কারণে নির্মাণকাজ বিলম্বিত হচ্ছে। কেডিএ তাদের ভুল বুঝতে পেরে ভবন মালিককে স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেছে। এদিকে গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত শেরেবাংলা রোডের দুই পাশে মোটরসাইকেল গ্যারেজ, মুদি দোকান, ২টি বহুতল ভবনের একাংশ, পাখি বিক্রির দোকান, সাইনবোর্ড তৈরির দোকানসহ বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর