শিরোনাম
বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাসানচরে আরও এক হাজার রোহিঙ্গা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া আরও ১ হাজার ১১ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে পাঠানো হয়। গতকাল পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে। জানা যায়, গত সোমবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে আনা হয়। নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে তারা রাতযাপন করেন। গতকাল সকালে তাদের জাহাজে তোলা হয়। এর আগে প্রথম দফায় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন, দ্বিতীয় দফায় ২৮ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন, তৃতীয় দফায় ২৯ জানুয়ারি ১ হাজার ৬৬৭ জন, চতুর্থ দফায় ৩০ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৬৭ এবং পঞ্চম দফায় ১৫ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়। আশ্রয়শিবিরে মোট ৯২ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা আছে সরকারের। নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে        বলেন, গতকাল ১ হাজার ১১ জনকে ভাসানচরে পাঠানো হয়। পর্যায়ক্রমে আরও ৯০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে।

জানা যায়, রোহিঙ্গাদের জন্য নোয়াখালীর ভাসানচরে ১৩ হাজার একর আয়তনে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি অত্যাধুনিক পরিবেশবান্ধব গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে নৌবাহিনী। বাসস্থান ছাড়াও বেসামরিক প্রশাসনের প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ভবন, ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসালয়, শিশুদের খেলার মাঠ ও বিনোদন স্পট গড়ে তোলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর হামলা শুরু হলে তারা বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। ইতিমধ্যে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগেও আসেন আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর