রাজশাহীতে ডোবায় পড়ে থাকা ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত তরুণীর পরিচয় পাওয়া গেছে এবং এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই তরুণীর নাম ননিকা রানী রায় (২৪)। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ জানান, এ হত্যকাণ্ডে জড়িত তারই প্রেমিক পুলিশের কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকার। রবিবার বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে যে মাইক্রোবাসে নিয়ে গিয়ে মরদেহ ফেলে দিয়েছিল, সেই মাইক্রোবাসটিও উদ্ধার করেছে পিবিআই সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকার, তাকে সহায়তাকারী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার আদারীপাড়ার কবির আহম্মেদ (৩০), রাজপাড়া থানার শ্রীরামপুর এলাকার সুমন আলী (৩৪) এবং মাইক্রোবাস চালক নগরীর বিলশিমলা এলাকার আবদুর রহমান (২৫)। গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করে পিবিআই। পিবিআই জানায়, নিমাই চন্দ্র সরকারের বাড়ি পাবনার আতাইকুলা উপজেলার চরাডাঙ্গা গ্রামে। পিবিআই রাজশাহীর একটি দল রবিবার ভোরে নাটোরের লালপুর উপজেলা নিমাইয়ের বোন-জামাইয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। নিমাই চন্দ্র রাজশাহীর জিআরপি থানায় কর্মরত। এর আগে পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীর মরদেহ শনাক্ত করেন। নিহত ওই তরুণীর ননিকা রানী রায়ের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরের মিলনপুর। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে সদ্য পড়াশোনা শেষ করেছেন।