বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
এ ক ন জ রে

সিলেটেও নজরদারিতে হেফাজত নেতারা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের কড়া নজরদারিতে রেখেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী হেফাজতের সহিংসতার পর সিলেটের নেতাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। হেফাজত নেতারা কোথায়, কার সঙ্গে বৈঠক করছেন খোঁজ রাখছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে সব থানায় বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো সিলেটেও মাঠে নামে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় সব কর্মসূচিই তারা পালন করেছেন যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে।

প্রতিটি কর্মসূচিতে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে জড়ো করা হয় কয়েক হাজার হেফাজত নেতা-কর্মী। বিভিন্ন মাদরাসা থেকেও আনা হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। তবে ২৮ মার্চ হরতাল চলাকালে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হেফাজত সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

মোদির সফর ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় হামলার পর সিলেটেও বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহানগর পুলিশের আওতাধীন ৬ থানায় স্থাপন করা হয় লাইট মেশিন গান (এলএমজি) পোস্ট। ব্যবস্থা করা হয় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার। এ ছাড়া গত ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক গ্রেফতার হওয়ার পর সহিংসতার আশঙ্কায় নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা  আরও জোরদার করা হয়। একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে গোয়েন্দা ও পুলিশ।

কোথাও সংগঠনের নেতারা গোপন কোনো বৈঠক করছেন কি না- এ ব্যাপারে চলছে গোয়েন্দা নজরদারি। নেতাদের গতিবিধিও রাখা হচ্ছে নজরদারিতে। এই নজরদারিতে হেফাজতে ইসলাম সিলেটের অর্ধশতাধিক শীর্ষ নেতা রয়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। নজরদারিতে থাকা নেতাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন মাদরাসা পরিচালনায় জড়িত বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, হেফাজতে ইসলামের নেতাদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে ছদ্মবেশে তাদের কর্মকান্ড ও গতিবিধিতে নজর রাখা হচ্ছে। সারা দেশে সাম্প্রতিক কিছু সহিংস ঘটনার পর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আপাতত সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কেউ কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা বা পরিকল্পনা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

সর্বশেষ খবর