এখনো বাতাসে দোল খেতে দেখা যায় সোনালু ফুল ও ফল। এটিকে অনেকে বান্দরলাঠিও বলে ডাকে। এক সময় রাস্তার পাশে সজনা গাছের মতো এই গাছটি প্রচুর দেখা যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রকৃতির সৌন্দর্যবর্ধন করতে দেখা যায় নগরীর সিও বাজার এলাকার সোনালু গাছটি। কৃষিবিদদের মতে, সোনালু বা বাঁদরলাঠি গাছ সাধারণত ১৫ থেকে ২০ মিটার উঁচু হয়। বসন্তের শেষে ফুল ও কলি ধরার আগে গাছে নতুন পাতা গজায়। গ্রীষ্মকালে গাছের শাখা-প্রশাখায় সোনালি হলুদ রঙের ফুল ফুটতে দেখা যায়। পুরো গরমকালে এই ফুল দেখা যায়। ফুলের পাঁপড়ি ৫টি এর মধ্যে পরাগ রয়েছে। ফুল থেকে গাছে ফল হয়, ফলের আকার দেখতে সজিনা সবজির মতো। তবে সজিনার গায়ের চামড়া মোটা। সোনালু ফলে তা নেই চামড়া মসৃণ। ফল লম্বায় প্রায় এক ফুট, রঙ প্রথমে সবুজ ও ফল পরিপক্ব হলে কালচে খয়েরি রঙ ধারণ করে। কোনো কোনো অঞ্চলে সোনালু ফলকে বানর লাঠি হিসেবে পরিচিত। সোনালু গাছকেও তারা বানর লাঠি গাছ বলে। সোনালু গাছের বাকল এবং পাতায় ওষুধি গুণাগুণ রয়েছে।
কৃষিবিদ আবিদ করিম বলেন, এই গাছটি সরকারি বনায়নের সময় রাস্তার পাশে লাগালে সৌন্দর্য যেমন বাড়বে তেমনি গাছটির ওষুধি গুণ থেকেও মানুষ উপকৃত হবেন।