তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক রোজিনার ঘটনা পুঁজি করে দেশবিরোধী চিহ্নিত মহল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। কারও কর্মকান্ড যেন তাদের হাতে অস্ত্র তুলে না দেয়। গতকাল দুপুরে মন্ত্রী তার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে টিভি নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দীন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগরসহ নির্বাহী সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশবিরোধী বিভিন্ন চক্র যারা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, কুৎসা রটায়, অপপ্রচার চালায় তাদেরও সক্রিয় হতে দেখা গেছে। বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মুশফিক ফজল জাতিসংঘ মহাসচিবের দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গিয়ে একটি প্রশ্ন করে এক কর্মকর্তার কাছ থেকে সর্বজনীন গণমাধ্যমবিষয়ক একটি জবাব আদায় করেছেন। সে বক্তব্যকেই রোজিনার বিষয়ে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তার বক্তব্য আর জাতিসংঘের উদ্বেগ এক নয়।

মন্ত্রী, সচিব বা রোজিনা ইসলাম কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন স্মরণ করিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের কোনো কর্মকান্ডকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেশবিরোধীরা যাতে দেশের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বিএনপি যখন রোজিনা ইস্যুতে বক্তব্য দিতে থাকে তখন বুঝতে হবে একে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শিক্ষা উপমন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মতের অমিল হলেই কাউকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা সমীচীন নয়।

পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রোজিনার বিষয়টি আবেগতাড়িতভাবে না দেখে বাস্তবতার নিরিখে দেখার আহ্বান জানান। বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. আবদুল মজিদ, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন, মোতাহার হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।