শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

নীল দরিয়া আলোর মুখ দেখছে না

নজরুল মৃধা, রংপুর

নীল দরিয়া আলোর মুখ দেখছে না

একটি সেতু ও রাস্তার অভাবে আলোর মুখ দেখছে না রংপুরের পীরগঞ্জে ৮০০ বছর আগের রাজা নীলাম্বরের রাজধানীর চতুর্পাশের পরিখা নীল দরিয়ায় নতুন পর্যটন কেন্দ্রটি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রংপুরের পীরগঞ্জে ৮০০ বছর আগের রাজা নীলাম্বরের রাজধানীর চতুর্পাশের পরিখা নীল দরিয়ায় নতুন পর্যটন কেন্দ্রটি একটি মাত্র সেতু ও রাস্তার অভাবে আলোর মুখ দেখছে না। নীল দরিয়া সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে তা হলো, ১২শ শতকে উত্তরবঙ্গে নীলাম্বর দেব নামে এক রাজা ছিলেন। নীলাম্বর দেবের অনেক রাজধানী ছিল। সেগুলোর একটি হলো পীরগঞ্জের চতরায়। বর্তমানে শুধু রাজবাড়ির ইট-সুরকির ধ্বংসাবশেষ প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে। রাজা নীলাম্বর রাজধানীকে সুরক্ষিত ও শত্রুর হাত থেকে রক্ষায় রাজবাড়ির চারদিকে গোলাকার করে ৮০ হাত প্রস্থ ও ৩০ হাত গভীর পরিখা খনন করেন। পরিখার ভিতরের অংশে ১৪ হাত উঁচু করে বিশাল প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ভূমিকম্পে গভীর পরিখার উত্তর ও উত্তর-পর্ব অংশ ভরাট হয়ে যায়। বর্তমানে দক্ষিণ ও পশ্চিমের বিশাল জলাশয় এলাকার পানি গভীরতার কারণে কালো বর্ণের দেখায়। মূলত এটিই নীল দরিয়া। কিংবদন্তি রয়েছে, মুসলিম পাঠান সেনাপতি হজরত শাহ ইসমাইল গাজী (রহ.) ইসলাম ধর্ম প্রচারে এ অঞ্চলে এলে রাজা নীলাম্বরের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে রাজা নীলাম্বরের পরাজয় ঘটে। যুদ্ধে নীলাম্বর পরাজিত ও বন্দী হন। মুসলমানদের হাতে বন্দী নীলাম্বরকে গৌড়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এখানে পর্যটন কেন্দ্র, রাস্তা, খেলাধুলাসহ বিশ্রামের যাবতীয় সরঞ্জাম বরাদ্দ দিয়েছে। এ ছাড়া  চতরাহাট হতে নীল দরিয়া পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার পর যথারীতি দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রাস্তা নির্মাণ শুরু করলেও কতিপয় ব্যক্তি এতে বাধা দেয়। যে কারণে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। প্রায় এক বছর রাস্তা নির্মাণ ঝুলে আছে।

চতরা ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, নীল দরিয়ায় প্রতিদিন লোকজন বেড়াতে অথবা পিকনিকের জন্য চলে আসতেন। এ ছাড়াও উৎসবসহ অন্যান্য ছুটির দিনে হাজারো  মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। তিনি জানান, দেড় কিলোমিটার রাস্তাল টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদার এবং জমির মালিকদের মধ্যে সামান্য জটিলতা রয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর