বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
হজ ও ওমরাহ বিল পাস

অনিয়মে এজেন্সির নিবন্ধন বাতিলসহ ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতারণা ও অনিয়মের জন্য হজ এজেন্সির নিবন্ধন বাতিলসহ সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল-২০২১’ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। কোনো হজ ও ওমরা এজেন্সি সৌদি আরব গিয়ে অপরাধ করলেও বাংলাদেশে সেই অপরাধের বিচার করার বিধান রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হজের চুক্তি বাংলাদেশে হওয়ায়, সে চুক্তি অনুযায়ী কেউ সৌদিতে গিয়ে প্রতারণা করলে ওই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে বলে গণ্য করে এ আইন অনুযায়ী বিচার হবে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিদ্যমান হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা নীতিমালাকে আইনে রূপ দিতে সংসদে বিলটি আনা হয়। বিলে বলা হয়েছে, হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার এ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গঠন করবে। হজ ও ওমরাহ এজেন্সিকে শর্ত মেনে নিবন্ধন নিতে হবে। নিবন্ধন পেতে হলে হজ এজেন্সিকে তিন বছর এবং ওমরাহ এজেন্সিকে দুই বছরের ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিলে বলা হয়েছে, হজ এজেন্সিগুলো অনিয়ম করলে তাদের নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। আর ওমরা এজেন্সি অনিয়ম করলে তারা নিবন্ধন হারানোর সঙ্গে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে।

 হজের চুক্তি এখানে হওয়ার পরে কেউ সৌদিতে গিয়ে ঠকালে তবে ওই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে বলে গণ্য করে এ আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে।

এ ছাড়া এতে জামানত বাজেয়াপ্ত, নিবন্ধন স্থগিত, সতর্কীকরণ ও তিরস্কারের বিধান রয়েছে। কোনো এজেন্সি পরপর দুবার তিরস্কৃত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নিবন্ধন দুই বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যাবে। কোনো এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হলে ওই এজেন্সির অংশীদার বা স্বত্বাধিকারীরা পরে কখনো হজ বা ওমরা এজেন্সির নিবন্ধন পাবেন না। অন্য কোনো এজেন্সির কাজেও সম্পৃক্ত হতে পারবে না। হজ এজেন্সিগুলো স্বত্ব পরিবর্তন করতে চাইলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোনো সংবিধিবদ্ধ আইন নেই। নির্বাহী আদেশ, নীতিমালা, পরিপত্র ইত্যাদি দ্বারা এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সংবিধিবদ্ধ আইন ও বিধিবিধানের প্রয়োজন দীর্ঘদিন অনুভূত হচ্ছে। হজ ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্য সরকারি সংস্থাগুলোর দায়-দায়িত্ব আইনি বিধিবিধান দ্বারা সুস্পষ্ট করা হলে তা হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ এবং গতিশীল করতে সহায়ক হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর