সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ পেয়ে লকডাউনে চিন্তামুক্ত

নীলফামারী প্রতিনিধি

বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ পেয়ে লকডাউনে চিন্তামুক্ত

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার হোটেল শ্রমিক দেলোয়ার হোসেন। হোটেলেই কাজ করে তার সংসার চলে। পরিবারে একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি তিনি। তিনি বলেন, করোনায় হোটেল বন্ধ। কঠোর লকডাউনে অন্য কোনো কাজও নেই। এই কদিন কীভাবে চলব চিন্তায় ছিলাম। ঠিক এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ পেয়ে খুব উপকার হলো। লকডাউনে চিন্তামুক্ত হলাম। দেলোয়ার হোসেন বলেন, লকডাউনে ত্রাণ পাব আশা করিনি। লকডাউনের সময়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে খেতে পারব। কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের জবেদা খাতুন, জাহেতুন বেগমসহ অনেকেই এই কঠোর লকডাউনে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই ত্রাণসামগ্রী পেয়ে খুশি হয়েছেন। কঠোর লকডাউনে নীলফামারীর প্রত্যন্ত গ্রামের কর্মহীন মানুষের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ। নীলফামারী জেলায় শত শত অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। রবিবার কিশোরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে ও নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই ত্রাণসামগ্রী  বিতরণ করেন শুভসংঘের সদস্যরা। এরপর উপজেলা পরিষদ মাঠেও অসহায়দের মাঝে ত্রাণ দেওয়া হয়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আটা, দুই কেজি ডাল, এক লিটার তেল।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বারী পাইলট শাহ্ বলেন, মহামারীর সময় সরকার অসহায়দের নানাভাবে সাহায্য করছে। বেসরকারিভাবেও আপনারা সহায়তা পাচ্ছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের এই খাদ্যদ্রব্য দিয়ে আপনারা সাত দিন খেতে পারবেন। তাই এই লকডাউনের সময় আপনারা কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। উপজেলার পক্ষ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বারী পাইলট শাহ্, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, নীলফামারী জেলা শুভসংঘের সভাপতি অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, কালের কণ্ঠের নীলফামারী প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিল, নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মো. সাজেদুর রহমান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর