রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

আপত্তিকর লিঙ্ক থেকে বাঁচতে সচেতনতা বাড়াতে হবে

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেসবুক টিকটকের নেতিবাচক দিক থেকে বাঁচতে সমাজে সবার সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ জন্য আমরা প্যারেন্টাল গাইড প্রসঙ্গে অভিভাবকদের সাথে ওয়ার্কশপ করার কথা ভাবছি। কারণ অভিভাবকরা ইন্টারনেট লাইন নেওয়ার সময়ে প্যারেন্টাল গাইড বিষয়টি লক্ষ্য করেন না। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র গতকাল এক ওয়েবিনারে এ সব কথা বলেন। ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার ঃ নারী ও মেয়েশিশুদের পাচার রোধে করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারটির আয়োজন করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।  সুব্রত রায় বলেন, ফেসবুক টিকটকসহ বিভিন্ন অ্যাপসে আপত্তিকর কনটেন্ট লিঙ্ক সরানোর সক্ষমতা বিটিআরসির নেই। আমরা ফেসবুক, টিকটক ও লাইকিসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনুরোধ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ওইসব কনটেন্ট সরিয়ে ফেলবে। বিটিআরসির এই কর্মকর্তা বলেন, বিটিআরসি ন্যাশনাল ইকুইভমেন্ট আইডেনটিটি রেজিষ্টার (এনইআইআর) চালু করতে যাচ্ছে।

 যার মাধ্যমে মোবাইল সেট ব্যবহারকারীর পরিচয় বোঝা যাবে। এতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কিছুটা সহজ হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট সালমা আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে ওয়ারা, এনটিভির বিশেষ প্রতিবেদক শফিক শাহীন, এনাপিকের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সুমন আহমেদ সাবির।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নারী ও মেয়ে শিশু বিষয়ক সুরক্ষা ও অধিকার বিয়ষয়ক পোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর অর্পিতা দাস।

ওয়েবিনারে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে টিকটক/লাইকি ব্যবহারের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারকা হওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কিশোর ও তরুণীদের ফাঁদে ফেলা হয়। যেহেতু লাইকি ও টিকটকের জন্য খুব সামান্য সেটআপ ও দক্ষতা দরকার হয়, তাই স্বল্প শিক্ষিত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা খুব সহজেই সাইবার-বিনোদন জগতে প্রবেশ করতে পারে। নিম্নবিত্তের তরুণীরা খুব সহজে প্রতারিত হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর