রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে সাঁড়াশি অভিযানেও স্বাস্থ্যবিধি না মানার হিড়িক

৯ দিনে ৫১১ মামলা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সাঁড়াশি অভিযানেও স্বাস্থ্যবিধি না মানার হিড়িক

লকডাউনে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড়। মানা হচ্ছে না কোনো বিধিনিষেধ -দিদারুল আলম

চট্টগ্রামে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। প্রতিদিন সকাল-বিকাল দুই শিফটে ভাগ হয়ে ১০ থেকে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরের ৪১টি ওয়ার্ডেই অভিযান পরিচালনা করছেন। তবুও চলছে স্বাস্থ্যবিধি না মানার হিড়িক। থেমে নেই মানুষের ঘোরাঘুরি, চলাফেরা, যাতায়াত ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল। অথচ প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গত ৯ দিনে ৫১১টি মামলায় ২ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণার পর  থেকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিদিনই সকাল-বিকাল অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ১ জুলাই ৩৭ মামলায় ১৩ হাজার ৭০০ টাকা, ২ জুলাই ৬২ মামলায় ২১ হাজার ৩০০ টাকা, ৩ জুলাই ৪৫ মামলায় ২৩ হাজার ৭৫০ টাকা, ৪ জুলাই ৪৪ মামলায় ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা, ৫ জুলাই ৪৭ মামলায় ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা, ৬ জুলাই ১০৫ মামলায় ৪ হাজার ৬০০ টাকা, ৭ জুলাই ৪৭ মামলায় ১৩ হাজার ২০০ টাকা, ৮ জুলাই ৪৪ মামলায় ১৮ হাজার ৬৫০ টাকা ও ৯ জুলাই ৮০ মামলায় ৮৮ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী। বন্দর-কাস্টমসসহ জাতীয় জরুরি বাণিজ্যিক স্থাপনা চট্টগ্রামে। তাই শ্রমজীবী মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে। এরপরও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে নিয়মিতই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আমরা চাই মানুষের নিরাপত্তা। কিছুটা দিন ঘরে থাকলে আমরাই তো এর সুফল ভোগ করব।’ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে গত শুক্রবার এক দিনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ জন এবং নতুন করে শনাক্ত হন ৬০৩ জন। গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হন ৬৪ হাজার ২৯৯ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৪৯ হাজার ৭১৮ জন এবং উপজেলায় ১৪ হাজার ৫৮১ জন। ইতিমধ্যে মারা গেছেন ৭৫৭ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৪৯০ জন ও উপজেলায় ২৬৭ জন। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ১১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।

গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার ছিল সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। এরপরও নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছিল সাধারণ মানুষের চলাচল, সড়কের মোড়ে মোড়ে ছিল মানুষের জটলা, বাজারে ছিল মানুষের ভিড়। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা, আছে রিকশাও। কারও মুখে মাস্ক মোটেও নেই, কারও থাকলেও তা থুতনির নিচে কিংবা গলায় ঝুলছে। মাস্ক ছাড়াই বাজার-লোকালয়ে দেদার ঘুরছে মানুষ।    

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর