রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিকাশে ইমাম ও ধর্মগুরুদের সক্রিয় ভূমিকা চাই

বিইউআইপির সভায় অভিমত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি (বিইউআইপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিকশিত করার জন্য মসজিদের ইমাম আর অন্যান্য ধর্মের গুরুদের সক্রিয়া ভূমিকা পালন করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বক্তাদের মতে, ইমাম ও ধর্মগুরুরা তাদের জীবনাচরণ ও বক্তব্যের মাধ্যমে সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষার বিষয়ে সাধারণ জনগণকে সহজেই উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। কারণ সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে তাদের ব্যক্তিত্বের প্রভাব রয়েছে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে গতকাল শনিবার ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ইসমাইল হোসাইন তাঁর ভাষণে বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে ওলামায়ে কেরাম সোচ্চার রয়েছেন। তাঁদের আরও সোচ্চার হতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মতলবে সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার পেছনে ছিল অপশক্তির রাজনৈতিক চক্রান্ত। প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে সেই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। বিইউআইপির কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওসমান গণির সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বাগেরহাটের হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মাওলানা মুফতি শেখ শোয়েব, হাফেজ মাওলানা কারি সানাউল্লাহ, আন্তর্জাতিক কারি মাওলানা আবদুল মান্নান, কাজী মাওলানা এম এম ইউসুফ আলী চৌধুরী, মাওলানা কাজী মুহাম্মদ সারুয়ারে আলম, মাওলানা শেখ রহমত উল্লাহ, হাফেজ মুহাম্মদ সেলিম উল্লাহ, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জহির উদ্দিন, হাফেজ দেলোয়ার, মাওলানা আবু বক্কর, মাওলানা ইব্রাহিম প্রমুখ।

বিইউআইপি প্রধান তাঁর বক্তৃতায় আরও বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এবং সব উপজাতির মধ্যে যে সহাবস্থান গড়ে উঠেছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এই অবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে ‘মদিনা সনদ’ অনুযায়ী পরিচালনা করার যে সংকল্প তিনি ব্যক্ত করেছেন তার রয়েছে গভীর তাৎপর্য। কারণ মদিনা সনদ পৃথিবীর ইতিহাসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সর্বোত্তম সংবিধান।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দৃঢ়তর করার জন্য অবশ্যই করণীয় কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন মাওলানা ইসমাইল হোসেন। যেমন- মসজিদ, মন্দির, পূজামণ্ডপ, ঈদগাহ। এ ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানস্থলের নিরাপত্তা বিধানে সিসিটিভির ক্যামেরা স্থাপন, ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানোর কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও কঠোর হওয়া এবং দেশের সর্বত্র শান্তিরক্ষার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধকরণে সমাজকল্যাণীদের সক্রিয় হওয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর